মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন। দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু হবে ইউক্রেনের চলমান সংকট এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বাভাবিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। উনার (জেলেনস্কির) সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব।
এ সময় জেলেনস্কিকে ‘ভালো মানুষ’ বলে অভিহিত করে ট্রাম্প জানান, তাদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আগে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হলেও তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে সম্মান করেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে দুই নেতার বৈঠক নির্ধারিত থাকলেও ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তড়িঘড়ি করে হোয়াইট হাউসে ফিরে যান ট্রাম্প। ফলে সেই বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
আশা করা হচ্ছে, আসন্ন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ, সামরিক সহায়তা, এবং রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই বলেছেন, তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে ‘বিস্তৃত ও কার্যকর সমাধান’ খুঁজে বের করতে চান।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে মতপার্থক্য একসময় চিৎকার-চ্যাঁচামেচির পর্যায়ে চলে যায়। ‘জেলেনস্কি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন’ দাবি করে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষ মারা পড়ছে। যুদ্ধের জন্য সেনার সংখ্যাও কমছে ক্রমশ। আপনার হাতে কার্ড (বিকল্প) নেই।’
রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে ট্রাম্পের পূর্বসূরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি ডলারের অস্ত্র ও অর্থসহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন; কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। জেলেনস্কির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দোষারোপ করে আসছিলেন তিনি।
এসএম/টিকে