‘মব’ সৃষ্টি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের তিনজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ শুনানি শেষে তাদের জামিনের আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া তিনজন হলেন– ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হক ঢালী, উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ এবং একই থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম।
জানা যায়, অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা থানায় গত রোববার সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করে বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষুব্ধ জনতা উত্তরার বাসা থেকে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে আটক করে হেনস্তা করে। আটকের সময় তারা নূরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। বাসায় ঢুকে সাবেক এই সিইসিকে অপদস্ত করে।
কেউ কেউ ফেসবুকে লাইভও করেন। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব হাসান মঙ্গলবার ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল উত্তরা এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হানিফকে আটক করে। হানিফের পক্ষে তার আইনজীবী মঙ্গলবার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য বুধবার ধার্য করেন। এদিন মোজাম্মেল ও কাইয়ুম আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট এনামুল হক জামিন শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, তারা নির্দোষ, নিরাপরাধ। ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত না। হয়রানি করতে তাদের মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তারা ভিকটিমের নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অন্যথায় বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে ভিকটিম মারাত্মক শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন। দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তাদের মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জামিনযোগ্য ধারায়। পরে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিনের মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে বের করে আনেন। এরপর গলায় জুতার মালা পরিয়ে তাকে হেনস্তা করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এছাড়া জুতা দিয়ে নূরুল হুদাকে আঘাত ও ডিম নিক্ষেপ করা হয়। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ২৪ জুন পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন।
এসএম/টিকে