বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক ব্যক্তি স্বৈরাচার হয়েছিল বলে নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতাহীন করার কোনো মানে হয় না।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনা মূলনীতিতে ১৫ম সংশোধনের গৃহীত বিষয়গুলোতে আমরা একমত থাকবো। আমরা সেই আর্টিকেলের সাথে বাকি বিষয়গুলো যুক্ত করতে চাই। আগে যেই বিষয়টি এনসিসি ছিল আজকে তা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি (সাসনিক)।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা চাই, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা, আইন প্রণয়ন ও সংস্কার করে গণতন্ত্রের মধ্যে আনতে। এ কারণে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কমিটি প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি। এক ব্যক্তি স্বৈরাচার হয়েছিল বলে নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতাহীন করার কোনো মানে হয় না।’
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও মেয়াদ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ লাইফ টাইমে ১০ বছরের বেশি থাকবে না, এই বিষয়ে আমরা একমত। তবে সাসনিক দিয়ে যদি নির্বাহী বিভাগের সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয়, তবে আমাদের দ্বিমত আছে।’
সংবিধানের মূলনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও সামাজিক সুবিচার উল্লেখের বিষয়েও দলের অবস্থান তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় সনদ তৈরির জন্য গত ২ জুন দ্বিতীয় দফার এ আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধানের বর্তমান ৪ মূলনীতি বহাল রাখার বিষয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল একমত, কয়েকটি দলের দ্বিমত আছে। তবে সংবিধানে নতুন ৫টি বিষয় যুক্ত নিয়ে সবাই একমত।
অধিকাংশ দলের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসএম/টিকে