সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না বলেছেন, ইলন মাস্কের স্টারলিংকের কারণে ভয়ংকর নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে যেতে চলেছে বাংলাদেশ এবং রহস্যজনক কারণে জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে খোদ আমাদের সরকার বাংলাদেশকে এই ধরনের ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। ঠিক এ ধরনের একটি চিঠি আমার হাতে এসেছে।
বুধবার (২৫ জুন) ‘মানচিত্র’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন তিনি।
মঞ্জুরুল আলম পান্না বলেন, গত কয়েক মাস আগে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই ইলন মাস্ককে চিঠি লিখেছিলেন।
স্টারলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য যাবতীয় যা করার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে তারা ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে- সেই ব্যবস্থা তারা করবে এবং সেটি করা হয়েছিল কোনো ধরনের ফর্মালিটি ছাড়াই। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। সেই লাইসেন্স দেওয়ার পরে এখন লাইসেন্সে যে শর্তগুলো সবচেয়ে বড় বড়গুলোর ধার ধারছে না স্টার লিংক।
কোন ধরনের নিয়মনীতি তারা তোয়াক্কা করছে না এবং এই যে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করা- সেটির কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর তথ্য যে কোনো সময় দেশের বাইরে চলে যেতে পারে, পাচার হতে পারে।
কীভাবে তথ্য পাচার হতে পারে- এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা বুঝতে আমাদেরকে লাইসেন্স দেওয়ার যে গাইডলাইনের শর্তগুলো বুঝতে হবে।
গাইডলাইনের সেকশন ১৫ অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ যে কোনো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আগে আর্থ স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো ধরনের ডাটা ট্রাফিক আমাদের দেশের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে হয়ে পাস করতে হবে। সেকশন ২৬ এর ৪ অনুযায়ী অবশ্যই আইনগত যে বাধা মানতে হবে।
অর্থাৎ সংক্ষেপে বলা হয়, এলআইয়ের সুযোগ রাখতে হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ডাটা ট্রাফিক মনিটরিং করা। ডিপিআই নামে আমাদের একটি স্থাপনা রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ট্রাফিক পাস করতে।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ডিপিআই। কিন্তু ইলন মাস্কের স্টারলিংক বিটিআরসির সঙ্গে দেন দরবার করছে, যে না তারা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের মাধ্যমে ডাটা পাস করবে না। তারা আইপিএলসি অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিজ সার্কিটের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর এবং ওমান এ ডাটা ট্রান্সফার করবে।
কিন্তু ডিপিআই তো আইপিএলসির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ডিপিআই সম্পৃক্ত ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের। স্টারলিংক কেন এমনটা করতে চাচ্ছে? খুব সহজে আমরা ধরে নিতে পারি, তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে তারা বাংলাদেশের ডিপিআই সিস্টেমকে পাস কাটিয়ে আইপিএলসির মাধ্যমে ডাটা পাস করতে চায়, যাতে আমরা কোনো ধরনের মনিটরিং করতে না পারি।
আরএম