এ যেন কেবল একটি গান নয়, বরং আত্মা জাগিয়ে দেওয়া এক আধ্যাত্মিক প্রার্থনা। নীতিন অভিনীত নতুন ছবি ‘থম্মুদু’র প্রকাশিত প্রথম ভক্তিগীত ‘জয় বগলামুখী’ ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে দর্শকমনে। বক্স অফিসে ‘ব্যাঙ্গার’ ও ‘ভূ অন্টু ভূতাম’-এর পর টিম ‘থম্মুদু’র এই নতুন উপহার যেন শুধুই সুর নয় — বরং দেবীময় এক আত্মিক ভাস্বরতা।
সুরে, কথায় এবং পরিবেশনায় এই গান যেন এক পূর্ণ ভক্তিমূলক অভিজ্ঞতা। ‘কান্তারা’র বিখ্যাত ‘বরাহ রূপম’-এর সুরকার অজনীশ লোকনাথ আবারও প্রমাণ করলেন, আধ্যাত্মিক আবহ তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিভা কতটা শক্তিশালী। গানটিতে তবলা, মন্ত্রোচ্চারণ ও অর্কেস্ট্রেশনের এমন মিশ্রণ রয়েছে, যা মনে হয় দেবী বগলামুখীরই কোন এক অনির্বচনীয় আহ্বান।
এই গানের প্রাণ হয়ে উঠেছেন গীতিকার জননবিথুলা রামালিঙ্গেশ্বর রাও। তাঁর লেখনীতে উঠে এসেছে জাতরার ধ্বনি, আম্বার গডুগুর উল্লাস, আর বগলামুখী দেবীর শক্তি ও মহিমার বিস্তৃত রূপ। আর সেই লাইনগুলো গেয়েছেন অ্যাবি ভি — এক আবেগভরা কণ্ঠ, যেখান থেকে যেন শব্দ নয়, বরং শক্তির প্রবাহ উঠে আসে।
গানের ভিডিওতেও মিলেছে দেবীময়তা ও সিনেমার প্রেক্ষিতের নিখুঁত সংমিশ্রণ। চিত্রায়ণে দেখা গেছে পূজার নানা অনুষঙ্গ, মন্দির প্রাঙ্গণের দৃশ্য, ধূপধুনোর ধোঁয়া আর ভক্তির উত্তাল প্রকাশ।
এই গানের মাধ্যমে যেন পরিচালক শ্রী রাম ভেনু স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন — ‘থম্মুদু’ কেবল একটি অ্যাকশন ছবি নয়, বরং এটি এক আধ্যাত্মিক অভিযান। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন নীতিন। তাঁর চরিত্র ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে কৌতূহল। পাশে রয়েছেন সপ্তমী গৌড়া, লায়া, সৌরভ সচদেবা ও টেম্পার ভামসির মতো তারকারা।
প্রযোজনায় রয়েছেন দিল রাজু ও শিরীষ, শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর ক্রিয়েশনসের ব্যানারে। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে চার জুলাই, দুই হাজার পঁচিশ সালে।
এই গান শুধু একটি প্রোমোশনাল কনটেন্ট নয় — এটি ‘থম্মুদু’র হৃদয়। জয় বগলামুখী দিয়ে সিনেমার যে আত্মিক আবহ তৈরি হলো, তা প্রমাণ করে দিল ছবিটি যে ধর্মীয় আস্থা, লোকজ আবেগ আর আধুনিক গল্প বলার মিশ্রণে এগোচ্ছে — তা নিঃসন্দেহে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হবে অন্যরকম।