এক রাষ্ট্রীয় সফরে নিজেদের বিশ্বস্ত মিত্র এবং বৃহত্তম ব্যবসায়ীক অংশীদার দেশ চীনে গিয়েছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চীনের উপকূলীয় শহর কুইংদাওয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
টানা ১২ দিনের সংঘাত শেষে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে গত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতিতে গেছে ইরান এবং ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম চীন সফরে গেলেন ইরানের কোনো মন্ত্রী।
রাশিয়া, চীন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলরুশ— ৯ দেশের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক জোট এসসিও’র যাত্রা শুরু ২০০১ সাল থেকে। ভৌগলিকভাবে এই জোটের অন্তর্ভুক্ত এলাকার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ জুন নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলন। তার একদিন পর শুরু হলো এসসিও সম্মেলন। এবারের সম্মেলন হচ্ছে ৯ সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে।
বৃহস্পতিবার দুই দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিন। বুধবার সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য দেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডন জুং। নিজ বক্তব্যে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে সরাসরি কোনো কথা তিনি বলেননি। তবে বলেছেন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে চীনের দৃষ্টিভঙ্গী পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে ভিন্ন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য দিয়েছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ-ও। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের সময় ইরানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য বেইজিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজ বক্তব্যে নাসিরজাদেহ বলেছেন, “তেহরান আশা করে যে বর্তমান যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে এবং মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাস করতে চীন তার গঠনমূলক ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।”
প্রসঙ্গত, ইরানের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত হলো জ্বালানি তেল রপ্তানি; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে পশ্চিমা বিশ্বসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে না ইরানের তেল।
ইরানের তেল ইস্যুতে বেইজিং পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না এবং বর্তমানে ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদেশ চীন।
সূত্র : সিএনএন
কেএন/টিকে