বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রজতজয়ন্তী (২৫ বছর) উপলক্ষ্যে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশেষ আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেখানে প্রথম টেস্ট দলের সদস্যরা যেন ফিরে গেলেন ২৫ বছর আগে, করেছেন পুরোনো সেই শুরুর দিনের স্মৃতিচারণও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। প্রত্যাশা ও স্মৃতিকথা শুনিয়েছেন বিসিবি সভাপতিও।
প্রথম টেস্ট দলে সবাই হয়েছেন অনেক ‘প্রথম’-এর সাক্ষী। সেই স্মৃতি হাতড়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘সবকিছুর প্রথম ছিলাম আমরা। প্রথম অনুভূতি, প্রথম হার, প্রথম জয় এবং প্রথম কষ্টগুলো সহ্য করা। আমাদের হয়তো বোলিং–ব্যাটিং এভারেজ (ছিল), এত স্ট্রং (ভালো) নয়। কিন্তু আপনাদের (প্রথম টেস্ট খেলা ক্রিকেটার) অবদান বাংলাদেশের মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।’
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার মুহূর্তটা বর্ণনা করতে গিয়ে বুলবুল আরও বলেন, ‘(ইংল্যান্ডের) পোর্টসমাউথ ক্লাবে ক্রিকেট খেলি তখন। একটি টিভি চ্যানেল লর্ডসে লাইভ অনুষ্ঠান করছিল যে, বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেতে পারে। ওই অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। এরপরই বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল। সেদিন উপস্থিত থাকতে পেরে সবসময় গর্ববোধ করি।’
টেস্টের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজন ছিল সীমিত পরিসরে। সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ দাওয়াত–ও পাননি। তবে ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান বড় করে আয়োজনের আশা ব্যক্ত করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘আমরা পঞ্চাশ বছর পূর্তির যে আয়োজনটা করব, সেটা হয়তো এত ছোট পরিসরে করব না। বেঁচে থাকব কি না জানি না। তবে আমাদের হয়তো একটা স্টেডিয়াম ভাড়া করতে হবে। তখন আমরা হয়তো ১০০ টেস্ট জয় দেখতে পারব। আমরা অনেক স্বপ্ন দেখছি।’
প্রসঙ্গত, প্রায় সপ্তাহখানেক সময় ধরে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার রজতজয়ন্তী উদযাপন চলছে দেশজুড়ে। যেখানে ছোট পরিসরে সিক্স–এ–সাইড টুর্নামেন্টের পাশাপাশি পেসার ও স্পিনার হান্টের আয়োজন করেছে বিসিবি। আর গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজার সামনে ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার দিন হয়ে গেল ক্রিকেটারদের পুনর্মিলনী। যেখানে প্রথম টেস্ট খেলা দল ও দেশে থাকা ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়েছিল।
এফপি/ টিকে