শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজকে একটা মুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সামনে ভালো রাজনীতি হবে, সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। আমরা সেই পরিস্থিতির মধ্যে ফিরে যেতে চাই না, যেখানে সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার জনগণের কাছে ছিল না। সেই অধিকার শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিলেন।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, ঢাকা মহানগর আয়োজিত রথযাত্রা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা তার সাজানো বাহিনী দিয়ে তার পথের কাটা দূর করার জন্য এবং চিরদিনের জন্য রানী হয়ে থাকার জন্য বিরোধী দলকে দমন করেছেন। তার শিকার হিয়েছি বিরোধী দলসহ সবাই। শেখ হাসিনার টার্গেট ছিল গণতন্ত্রের পক্ষে কেউ কোনো কথা বলতে গেলে, তাকে বর্বোচিত আক্রমণ সইতে হবে। এই ভাগ্যের লিখন নির্ধারণ করতেন শেখ হাসিনা।’

তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্টজনদের দিয়ে বাংলাদেশকে ডাকাতদের গ্রাম বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রজনতা সেটি করতে দেয়নি। প্রতিহত করেছে। বাংলাদেশে এ ধরনের কাজ করা যায় না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসর হাবিবুল আউয়ালই এখন বলছে, দুই টার্মের নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন। আমরা তো এটা আগেই বলেছি। এই নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। ডামি নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অন্ধ হয়ে গেছেন দুইশ থেকে তিনশর মতো নেতাকর্মী।’

রিজভী বলেন, ‘আজকে হাবিবুল আউয়াল বলছেন, ডামি নির্বাচন হয়েছে। আপনি তো শিক্ষিত লোক ছিলেন, সচিব ছিলেন। আপনার সেদিন বিবেকে বাধেনি, আপনার ভুল কাজটি করার জন্য চেইন রিক্যাকশনে জনগণ ও দেশের কত ক্ষতি হবে। এই ভোটারবিহিনী ডামি নির্বাচন একটা অবৈধ নির্বাচন। তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেটি ছিল, সেটি অবৈধ পার্লামেন্ট, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, অবেধ রাষ্ট্রপতি এবং তাদের হাত দিয়ে যারা নিয়োগ হয়েছিলেন—সচিব বলুন আর বিভিন্ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলুন, তারা প্রত্যেকে অবৈধ এবং তাদের নিয়োগ করা বিচারকরাও অবৈধ ছিলেন। তাদের দেওয়া রায়গুলোও ছিল অবৈধ। তাহলে একটা অবৈধ দুঃশাসন ও আইনের মধ্যে আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে।’ 

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সকালের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়সহ ৫ দিন বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস Jun 28, 2025
img
শুভ জন্মদিন স্যার, আপনার সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য এক বিরাট সম্মান: প্রেস সচিব Jun 28, 2025
img
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা Jun 28, 2025
img
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর বার্তা দিল এনবিআর Jun 28, 2025
img
ইসির দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত: জামায়াত আমির Jun 28, 2025
img
আবারও ইরানে হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প Jun 28, 2025
img
আমার কাছে সুখের মানে ছিল ভালোবাসা: শবনম ফারিয়া Jun 28, 2025
img
৬১ বছর বয়সে ফের বিয়ে করলেন জেফ বেজোস Jun 28, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ Jun 28, 2025
img
তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি: মির্জা ফখরুল Jun 28, 2025
img
সিকান্দারের পর এবার কর্নেল সন্তোষ বাবুর চরিত্রে সালমান খান Jun 28, 2025
img
টেস্ট স্ট্যাটাসের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আজ রংপুরে যাবেন বিসিবি সভাপতি Jun 28, 2025
img
পূর্ণিমার বোন শাহানা আবারও নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিলর Jun 28, 2025
img
ইংরেজ প্রেমিকাকে রুমে নিয়ে আসতেন ধাওয়ান, ব্যাঘাত ঘটত রুমমেট রোহিতের ঘুমের! Jun 28, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন বার্তা Jun 27, 2025
img
চীন সফর শেষে ঢাকায় বিএনপির প্রতিনিধি দল Jun 27, 2025
img
মোনাকোয় যাচ্ছেন ফাতি, জন্মদিনে বার্সার ১০ নম্বর জার্সি পাবেন ইয়ামাল! Jun 27, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্যের আমদানি বন্ধ করল ভারত Jun 27, 2025
img
বাকৃবির ৩ ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার, ২ জনের অর্থদণ্ড Jun 27, 2025
img
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ইরানের আরেক পরমাণু বিজ্ঞানী Jun 27, 2025