গাজায় একদিনে প্রাণ গেল আরও ৭২ জনের

গতকাল শুক্রবার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৭২ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৭৪ জন। এ দিন সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ হাজার ৩৩১ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন ফিলিস্তিনি।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৮ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ২০ হাজার ৫৯১ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

এদিকে সম্প্রতি গাজায় ফের দু’মাসের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্রস্তাবনা এখনও হামাস কিংব ইসরায়েল অনুমোদন করেনি।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

আরএম/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৩ বার বিবাহবিচ্ছেদ হলেও বিয়েতে আস্থা হারাননি শ্রাবন্তী! Jun 28, 2025
img
রংপুরবাসীর জন্য নতুন স্বপ্ন দেখালেন বিসিবি সভাপতি Jun 28, 2025
img
জাহাঙ্গীরনগরে আওয়ামীপন্থি সিনেটরদের ঠেকাতে বিক্ষোভ Jun 28, 2025
img
পদ্মায় ধরা পড়ল ৫০ কেজির বাঘাইড়, নিলামে উঠল ৭৭ হাজারে Jun 28, 2025
img
আগের চেয়ে খেলায় উন্নতি করেছে বাংলাদেশ, দাবি শান্তর Jun 28, 2025
img
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি পুনর্গঠনের দাবি Jun 28, 2025
নেতৃত্ব ছেড়ে বোর্ডকে জবাব দিলেন শান্ত! Jun 28, 2025
img
ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে জামায়াত ও এনসিপি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ Jun 28, 2025
img
রোববারও অব্যাহত থাকবে কমপ্লিট শাটডাউন ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি Jun 28, 2025
img
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা Jun 28, 2025
img
টঙ্গীতে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে আহত ১০ Jun 28, 2025
img
ওপেনিং পজিশনে বিজয়কে না নেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না : শান্ত Jun 28, 2025
img
টানা ব্যর্থতায় সিয়াটলে নেতৃত্বে রদবদল Jun 28, 2025
img
২০২৬ সালে জিৎ-এর দুই বিপরীত রূপে চমক Jun 28, 2025
img
গুড়া দুধ আমদানি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় : ফরিদা আখতার Jun 28, 2025
img
আসছে মৌসুমি বৃষ্টিবলয় ‘নির্ঝর’ Jun 28, 2025
img
এনবিআরের অচলাবস্থায় বড় ক্ষতির শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা Jun 28, 2025
img
কারিগরি শিক্ষায় জোর দেওয়ার পরামর্শ গণশিক্ষা উপদেষ্টার Jun 28, 2025
img
ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায় আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই: জয়া Jun 28, 2025
img
জামায়াতের যুব নেতার বিএনপিতে যোগদান Jun 28, 2025