যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মার্কিন সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া এই আদেশের পর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকরে আবারও উদ্যোগের কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন ইস্যুতে কয়েকশ সিদ্ধান্ত নেন এবং নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ও স্পর্শকাতর ছিল যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ। ট্রাম্পের এই আদেশের পর নিম্ন আদালত তার স্থগিতাদেশ দেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এক রায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন আদেশ স্থগিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।সুপ্রিম কোর্ট জানান, প্রেসিডেন্টের আদেশের ওপর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারকরা দেশজুড়ে স্থগিতাদেশ দিতে পারবেন না।
বিগত কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে আসছিলেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি প্রয়োগ সাময়িকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এটিকে ‘বিশাল বিজয়’ বলে দাবি করেন। বলেন, তিনি এখন তার প্রশাসনের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে এসে সন্তান জন্ম দেয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালের চিকিৎসা খরচও বহন করতে হয় না। সংবিধান অনুযায়ী জন্ম নেয়া শিশুটি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের এই বিধানটি বাতিলের পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর জন্মগত নাগরিকত্বের ভবিষ্যত কি হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরএম/এসএন