সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

সাতক্ষীরায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। শহর থেকে গ্রাম সবখানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা, রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত, আর মানুষ বন্দি হয়ে পড়েছে চার দেয়ালের ভেতরে।

গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বৃষ্টি ১৯ জুন পর্যন্ত চলে একটানা। এরপর দু’দিন বিরতি দিয়ে রোববার (২২ জুন) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ফের নামে মুষলধারে বৃষ্টি। আজ শনিবার (২৮ জুন) ভোর রাত থেকে আবারও শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ।

সকাল থেকে আকাশ এমনভাবে কালো হয়ে আছে যেন চারপাশে অন্ধকার নেমে এসেছে। দিনের আলো হারিয়ে গেছে মেঘ আর বৃষ্টির দাপটে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, গত ১৭ জুন থেকে ২৮ জুন সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।

বৃষ্টির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর। শহরের অনেক রাস্তাই এখন হাঁটার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কাদা আর ভাঙা রাস্তা।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা এখন জলাবদ্ধতা। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটা যায় না। চারদিকে শুধু পানি আর পানি।'
এদিকে শহরের বাজার এলাকাগুলোতেও টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছেন না, ফলে বেচাকেনা প্রায় বন্ধ।

অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নাজুক অবকাঠামোর কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমেই সাতক্ষীরায় একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। সচেতন মহল বলছেন, “দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন না হলে এই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।”
 
পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া ফারজানা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার Sep 13, 2025
img
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই Sep 13, 2025
হাইকমিশনের খালি গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ, নিরাপদেই ছিলেন মাহফুজ আলম Sep 13, 2025
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে’ Sep 13, 2025
img
লিটমাস টেস্টের ফল কী বার্তা দিচ্ছে? Sep 13, 2025
img
চীনা বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিল বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল Sep 13, 2025
img
পিআর পদ্ধতি সাধারণ মানুষ বোঝে না: মাহমুদুর রহমান মান্না Sep 13, 2025
img
পাকিস্তানে সংঘর্ষে প্রাণ গেল অন্তত ১৯ সৈন্যের Sep 13, 2025
img
দেড় কোটি টাকা কানাডায় মেয়ের কাছে পাচার, অভিযোগে ও আলোচনায় সাবেক প্রধান শাহীনুল Sep 13, 2025
img
ফের শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করছে দেশ Sep 13, 2025
img
জাকসুর ফলাফল ঘোষণায় এত সময় লাগার কারণ Sep 13, 2025
img
জাকের ও শামিমের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ Sep 13, 2025
‘আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে আমরা জানি, গোপালগঞ্জে দেখে এসেছি’ Sep 13, 2025
img
ছেলে ভিপি নির্বাচিত হওয়ায় গর্বিত সাদিক কায়েমের বাবা Sep 13, 2025
img
জুবিমেন্দির জোড়াগোলে আর্সেনালের দাপুটে জয় Sep 13, 2025
img
বিসিবির দায়িত্ব নিয়ে আবেগ প্রকাশ করলেন সাইমন টাফেল Sep 13, 2025
img
গতানুগতিক ধারার ভোটে ফের ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে, টাকা পাচার হবে : রেজাউল করীম Sep 13, 2025
img
জামায়াত আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করে না: মাসুদ সাঈদী Sep 13, 2025
img
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় নাগরিকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ : ডিএমপি কমিশনার Sep 13, 2025
img
রাশমিকাকে জাতীয় ক্রাশ বলা প্রচারের একটি কৌশল : মনোজ বাজপেয়ী Sep 13, 2025