হেগের রায়কে ‘আইনি জয়’ বলছে পাকিস্তান


সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগের স্থায়ী সালিশি আদালতের (পারমানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশন) একটি রায়কে নিজেদের ‘আইনি জয়’ ও ভারতের জন্য ‘বড় ধাক্কা’ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারত এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।  

শুক্রবার হেগের স্থায়ী সালিশি আদালতের একটি রায়ে বলা হয়েছে— চুক্তি স্থগিত করার ভারতের সিদ্ধান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না। 
আদালতের মতে, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি তখনই শেষ হবে যখন উভয় দেশ এটি শেষ করার জন্য সম্মত হবে, কোনো একতরফা স্থগিতাদেশ বা চুক্তি থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। আদালত তার এখতিয়ারের ওপর জোর দিয়ে বলেছে যে, একবার সালিশি প্রক্রিয়া শুরু হলে, কোনো পক্ষ পিছু হটে তা ব্যাহত করতে পারে না। 

পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, এটিকে একটি বড় আইনি বিজয় হিসেবে দেখেছে যা ভারতের কিষাণগঙ্গা ও রাটল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে পাকিস্তানের আপত্তির মুখে ফেলেছে। পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, ভারতের একতরফা পদক্ষেপ আদালত বা নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতাকে কেড়ে নিতে পারে না। 

অন্যদিকে এই রায়ের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ভারত কখনোই এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং এর গঠনকেই সিন্ধু পানি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করে। 

ভারতের দাবি, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত একটি সার্বভৌম অধিকার এবং যতক্ষণ চুক্তিটি স্থগিত অবস্থায় থাকবে, ততক্ষণ ভারত এর কোনো বাধ্যবাধকতা মানতে বাধ্য নয়। ভারত এই রায়কে ‘পাকিস্তানের ইশারায় একটি প্রহসন’ এবং পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের জন্য জবাবদিহি এড়াতে আরেকটি মরিয়া প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে। 


ইউটি/এসএন







Share this news on:

সর্বশেষ

img
চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ : সারজিস Jun 28, 2025
নেতৃত্ব ছেড়ে বোর্ডকে জবাব দিলেন শান্ত! Jun 28, 2025
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি Jun 28, 2025
img
মা হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ রইল শেফালি জারিওয়ালার! Jun 28, 2025
img
কেবিসিতে ৫ কোটির মালিক হওয়া সুশীল এখন ‘ভিখারি’ Jun 28, 2025
img
৩ বার বিবাহবিচ্ছেদ হলেও বিয়েতে আস্থা হারাননি শ্রাবন্তী! Jun 28, 2025
img
রংপুরবাসীর জন্য নতুন স্বপ্ন দেখালেন বিসিবি সভাপতি Jun 28, 2025
img
জাহাঙ্গীরনগরে আওয়ামীপন্থি সিনেটরদের ঠেকাতে বিক্ষোভ Jun 28, 2025
img
পদ্মায় ধরা পড়ল ৫০ কেজির বাঘাইড়, নিলামে উঠল ৭৭ হাজারে Jun 28, 2025
img
আগের চেয়ে খেলায় উন্নতি করেছে বাংলাদেশ, দাবি শান্তর Jun 28, 2025
img
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি পুনর্গঠনের দাবি Jun 28, 2025
নেতৃত্ব ছেড়ে বোর্ডকে জবাব দিলেন শান্ত! Jun 28, 2025
img
ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে জামায়াত ও এনসিপি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ Jun 28, 2025
img
রোববারও অব্যাহত থাকবে কমপ্লিট শাটডাউন ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি Jun 28, 2025
img
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা Jun 28, 2025
img
টঙ্গীতে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে আহত ১০ Jun 28, 2025
img
ওপেনিং পজিশনে বিজয়কে না নেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না : শান্ত Jun 28, 2025
img
টানা ব্যর্থতায় সিয়াটলে নেতৃত্বে রদবদল Jun 28, 2025
img
২০২৬ সালে জিৎ-এর দুই বিপরীত রূপে চমক Jun 28, 2025
img
গুড়া দুধ আমদানি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় : ফরিদা আখতার Jun 28, 2025