সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার রিমান্ড শুনানির সময় তার কোনো আত্মীয় সংসদ সদস্য ছিলেন কি না আদালত জানতে চেয়েছেন। এছাড়াও তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালীন নির্বাচন সচিব কে ছিলেন তার নাম জানতে চান আদালত।
গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় এসব বিষয় জানতে চান বিচারক। এ সময় নূরুল হুদার ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, উনার ভাগনে কি নির্বাচন করেছিল, এমন একটা প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বিচারক। এবং সেখানে দেখা গেল প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে হাসিনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাগনেকে সংসদ সদস্যর জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
তিনি বলেন, এ সময় আদালত উনার সময় নির্বাচন সচিবের নাম চানতে চান। তখন আমার বলছি উনার সময় সচিব ছিলেন হেলালউদ্দিন।তিনিও ওই মেকানিজমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নুরুল হুদার আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আদালত জানতে চেয়েছিলেন উনার কোনো আত্মীয় বড় কোনো পদে ছিলেন কি না। আমাদের সবাই জানে উনার ভাগনে এস এম শাহজাদা পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি ছিলেন। আজকে আদালত জানতে চেয়েছিলেন দিনের ভোট রাতে হওয়ার বিষয়টা।
আসলে আমরা আগেও বলেছি আজকে একই কথা বলেছি—এরকম কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েনি।
এর আগে ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকেগ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ওইদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এফপি/টিকে