বরগুনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪ জন ভুয়া ডাক্তারকে অটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে ১ লাখ করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার পরিচালনাকালীন তাদের আটক করা হয়।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিধান চন্দ্র সরকার, ইদ্রিস আলম এবং জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া জহিরুল ইসলাম সৌরভ নামে একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌরসভার ফার্মেসি পট্টি এবং মিষ্টি পট্টিসহ আরও কয়েকটি স্থানে সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ডাক্তার পদবী ব্যবহার, বিএমডিসি সনদ না থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে ৪ জন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। পরে আটকদের মধ্যে তিনজনকে ১ লাখ করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং বাকি একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, বরগুনার বিভিন্ন অলিগলিতে অভিযান চালিয়ে ৪ জন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই ডাক্তার সেজে বিভিন্ন রোগীদের ভুয়া চিকিৎসা দিয়েছেন। আটক চারজনের মধ্যে তিনজন ভুল স্বীকার করায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়। বাকি একজন দোষ স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এফপি/এস এন