সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, বর্তমান সময়টিতে ডাস্টবিন শব্দটি রাজনীতির সঙ্গে ভীষণভাবে ম্যাচ করেছে। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ডাস্টবিন নাম সংযুক্ত করা, কাউকে অপছন্দ হলে সেই নামের সঙ্গে অমুক না ডাস্টবিন তমুক না ডাস্টবিন, এটা দেশ এবং দেশের বাইরে যারা বাঙালি রয়েছেন তারা যেভাবে এই স্লোগান তুলছেন - এটার মনস্তাত্বিক যে বিশ্লেষণ সে বিশ্লেষণের উপরই আগামীর রাজনীতি নির্ভর করছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেছেন, ডাস্টবিনের পর সান্ডা শব্দটি এই মুহূর্তে খুব প্রচলিত।
সান্ডা এমন একটা প্রাণী যা মরু অঞ্চলে থাকে। আমাদের দেশের অনেকটা টিকটিকির মত বড় আকারের। কুমিরও নয়, টিকটিকও নয়, গুইশাপ নয়। ভীষণ রকম দেখতে বিশ্রী।
এই সান্ডা আরব দেশের লোকেরা খায়। এটি হালাল প্রাণী। কিন্তু দেখতে একরকম অরুচিকর। এখন আমাদের এই সমাজে কাউকে পছন্দ না হলে বলা হচ্ছে সে একজন একটা সান্ডা।
মানে যেকোন মানুষকে মনে হচ্ছে সে সান্ডার চাইতেও নিকৃষ্ট।
রনি আরো বলেন, আরেকটি শব্দ নিমডা যা বিখ্যাত বাহুবলী সিনেমার একটা ডায়লগ। নিমডার শব্দের অর্থ হল তোমাকে মারবো। আই উইল কিল ইউ। ফিনিশ ইউ।
তোমাকে একেবারে শেষ করে দেব। এরপর আরো অনেক শব্দ রয়েছে, যেমন - টেলমি, মইনুস সুকুর এ শব্দগুলোও ব্যবহৃত হচ্ছে রাজনীতিতে।
রনি এক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঢাকার দক্ষিণ সিটির মেয়র পদের জন্য ইশরাক হোসেন আন্দোলন করছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে আমাকে সরকার শপথ না পড়ালে আমি নিজেই শপথ পড়বো। এখন ইশরাককে অপমান করার জন্য একদল যুবক বাহুবলী সিনেমার এই ডায়লগটি অনেকটা স্যাটায়ারের কায়দায় প্রচার করেছে, যার প্রথম শব্দ নিমডা। আর এই ডায়লগটির কারণে এখন জনাব ইশরাক এতটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে যে তাকে দেখলে বিরোধী পক্ষ নিমডা শব্দ বলতে থাকে।
এগুলোই হলো বর্তমান রাজনীতির স্লোগান এবং পরিচয় বলে রনি উল্লেখ করেন, আগামী পাঁচ বছর, দশ বছর রাজনীতি কেমন যাবে তা খুব সহজেই বলে দেয়া সম্ভব।
এফপি/এস এন