কলকাতায় আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দ্রুত পদত্যাগ’ দাবি করেছে বিজেপি। আইন কলেজের ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) ‘অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করছে দলটি।
বিজেপি অভিযোগ করেছে, একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেন, ‘একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও পশ্চিমবঙ্গ নারীদের উপর শোষণ ও অত্যাচারের ক্ষেত্রে এক নম্বরে উঠে এসেছে। তৃণমূল সর্বদা অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি, এবং তারপরেই নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে।’
এএনআই সংবাদ সংস্থার সাথে কথা বলার সময় গৌরব বল্লভ আরও বলেন, ‘টিএমসি বিধায়করা যারা কলেজ বন্ধ থাকাকালীন কেন ভুক্তভোগী গিয়েছিলেন, এবং যদি কোনো বন্ধু এমন কাজ করে তবে দল কী করতে পারে- এমন বক্তব্য দেন, তাদের ভাবা উচিত যে তাদের পরিবারের কোনো নারীর সাথে যদি একই রকম কিছু ঘটে তবে তাদের কেমন লাগবে।’
এদিকে, দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের ওই আইন ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের জন্য সোমবার সকালে বিজেপির চার সদস্যের একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী দল কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এই দলের উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা।
ঘটনাটি ২৫ জুন সরকার পরিচালিত দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ঘটেছিল। যেখানে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন অভিযুক্ত এবং একজন কলেজের প্রহরী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অপরাধটি পূর্বপরিকল্পিত কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
তদন্ত অনুসারে, ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রকে প্রত্যাখ্যান করেন। ছাত্রী তাকে জানান, তার অন্য কারও সাথে সম্পর্ক আছে এবং তিনি ভালো আছেন।
কিন্তু মনোজিত মিশ্র তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর মেয়েটিকে ধষর্ণ করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, এই ঘটনাকে ‘অবাঞ্ছিত, অপ্রয়োজনীয় এবং অসংবেদনশীল’ মন্তব্য করার জন্য রোববার তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিধায়ক মদন মিত্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস