সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের নামে থাকা ৪০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের নামে থাকা ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর মধ্যে নুরুজ্জামানের ৩২ ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং হোসনে আরার ২৫ ব্যাংক হিসাবে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা রয়েছে।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির নামে থাকা এসব স্থানান্তর, হস্তান্তর ও বেহাতের চেষ্টা করছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামান আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান চলাকালে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির মধ্যে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা ও ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক।
প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার সম্পদ অবৈধ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা সন্দেহহনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম ও নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় নুরুজ্জামানের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তার ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে। এ মামলায় বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিহীন ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং রাকিবুজ্জমানের নিজ নামে ১০টি ব্যাংক হিসেবে মোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে।
কেএন/টিকে