ভয়াবহ সেই রাতের স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় কারিনা কাপুরকে। ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারির ভোরে নিজের বাড়িতেই ছুরিকাঘাতের শিকার হন সাইফ আলি খান।
দুষ্কৃতীরা তাকে পরপর ৬ বার ছুরিকাঘাত করে। ঘাড়, মেরুদণ্ড ও হাতে গুরুতর আঘাত পান অভিনেতা। ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের দীর্ঘ নিউরোসার্জারি এবং প্লাস্টিক সার্জারির পর প্রাণে বেঁচে যান সাইফ।
সেই রাতে ঘটনার সাক্ষী ছিল তাদের ছোট ছেলে জেহ। এখনও সেই ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে পারছেন না কারিনা। সম্প্রতি বারখা দত্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের মনের কথা ভাগ করে নেন অভিনেত্রী।
কারিনা বলেন, “এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারিনি। বিশেষ করে প্রথম দুই-তিন মাস এত ভয় কাজ করত যে ঘুমাতে পারতাম না। মনে হতো কিছু একটা ঘটে যাবে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি কিছুটা ম্লান হয়, কিন্তু ভিতরে কোথাও সেই ভয় থেকে যায়। যেন কারও মৃত্যু দেখার মতো অনুভূতি।”
তবে সন্তানদের সামনে সেই ভয় কখনও প্রকাশ করেননি কারিনা। বললেন, “ভয়ের মধ্যে বাঁচা যায় না। সেটা বাচ্চাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। আমি একদিকে মা, অন্যদিকে স্ত্রী। সাইফের ওপর আক্রমণের পর পুরো পরিবারকে আগলে রাখতে হয়েছে। আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ যে সাইফ বেঁচে আছে।”
সাক্ষাৎকারে কারিনা আরও বলেন, “এই ঘটনা আমার ছেলেদের চরিত্র গঠনে প্রভাব ফেলবে। এতদিন তারা খুব সুরক্ষিত জীবন কাটিয়েছে। কিন্তু এখন তারা জানে, জীবন সবসময় নিরাপদ নয়। আমার ছোট ছেলে জেহ এখনও বলে, ‘আমার বাবা আয়রন ম্যান। বাবার কিছুই হতে পারে না।’ আমাদের কাছে সাইফ সত্যিই আয়রন ম্যান।”
কেএন/টিকে/টিএ