‘ক্যাপ্টেন কুল’, এই নামটি ক্রিকেটপ্রেমীরা ভালোবেসে ডাকেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। সমর্থকদের দেওয়া এই নামটি এবার নিজের করে নিতে চাইছেন ধোনি। ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবার নিজেই এই নামটিকে ট্রেডমার্ক করাতে আগ্রহী হয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ‘ক্যাপ্টেন কুল’ উপাধিটি ব্যবহার করতে না পারে।
গত ১৬ জুন ধোনি ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেন।
যদিও এ প্রক্রিয়া সহজ হয়নি। এর আগেও তিনি এই নামের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু ‘ট্রেডমার্ক আইন’ এর ১১(১) ধারার কারণে আপত্তি তোলা হয়। একই ধরনের ট্রেডমার্ক ইতোমধ্যে অন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রেখেছে, যার ফলে বিভ্রান্তির আশঙ্কা ছিল। তবে ধোনির আইনজীবীরা যুক্তি দেন, ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি দীর্ঘদিন ধরে ধোনির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে।
ক্রিকেটপ্রেমী ও সংবাদমাধ্যমে তাকে এ নামে ডাকা হয়ে আসছে, ফলে এটি ধোনির অন্যতম পরিচয়। এছাড়া ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি শুধু ক্রীড়া ও বিনোদনের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে এর ওপর অন্য কোনো স্বত্ব নেই। তাই বিভ্রান্তির সম্ভাবনা নেই।
ধোনির আইনজীবী মানসী আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘আমরা খুবই সন্তুষ্ট, কারণ ট্রেডমার্ক অফিসাররা আমাদের যুক্তি বুঝতে পেরেছেন।
আমরা প্রত্যাখ্যানের কারণগুলোর যথাযথ পাল্টা যুক্তি দিয়েছি।’
ধোনি শুধু একজন ক্রিকেটার নন, তিনি বড় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও যুক্ত। তাই তার নামে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়টি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটজীবনের শেষ দিকে এসে ধোনি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি, কোচিং সেন্টার এবং ফিটনেস সেন্টারের মতো ব্যবসার জন্য ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি ব্যবহার করতে চান।
অধিনায়কত্বের সময় ধোনির ঠান্ডা মস্তিষ্ক ও দৃঢ় মনোভাবই তাকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ উপাধিতে ভূষিত করে।
চাপের মুহূর্তেও তিনি বিচলিত হতেন না এবং সতীর্থদের ভুলে ক্রুদ্ধ হতেন না। এই কারণেই তিনি বহু কঠিন ম্যাচ জয় করেছেন এবং ভক্তরা তাকে এতদিন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলে সম্বোধন করে আসছেন।
এমআর/টিকে