জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, পুলিশ ভাইদেরকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ পুলিশকে দলীয় বানাতে চেয়েছিল, তার পরিণতি দেখেছেন। আপনাদের বলবে দখলপন্থি না হয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুলিশ হয়ে উঠুন।এনসিপির পুলিশের প্রয়োজন নাই, এনসিপি মনে করে জনতা হচ্ছে ক্ষমতা।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ভাইদেরকে বলছি, পটিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে এর যদি পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে ৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি হবে। আমাদের স্বাধীনতা ছিল না, নতুন বাংলাদেশে আর কোনো চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়ার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ফলকের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন এনসিপির এ নেতা।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের রাস্তায় গুলি করে মেরেছে। আলেমদের দাড়ি-টুপি ধরে মসজিদের মিম্বর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা ছিল না। আলেমদের কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেবে এমন বাংলাদেশ হতে দেওয়া হবে না।
পথসভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনীতি করতে চাই না। আমরা চাই প্রতি জেলায় ও উপজেলায় ছড়িয়ে পড়তে। আমরা আপনাদের সহযোগিতায় এই রাষ্ট্র পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়েছি।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমাদের জেলায় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এখানকার মানুষ যেন ঢাকায় না যায়। রাজারহাটে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট যাতে হয়, এখানকার ছেলেমেয়েরা যেন লেখাপড়া করতে পারে। আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন।
দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, যারা চাঁদাবাজি করে, দখলদারিত্ব করে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলা বাণিজ্য করে, লুটপাট করে, তারা যেন আপনাদের নেতা না হয়। তাদের মাধ্যমে আপনাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হবে না। আমরা বিশ্বাস করি আপনারা সেই সংগ্রামী, সেই বিপ্লবী, আপনারা হচ্ছেন সেই কুড়িগ্রামের মানুষ, সেই পরিচয় আগামীর বাংলাদেশে দেবেন।
পথসভা শেষে তারা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পথসভায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশে শহর ত্যাগ করেন।
এমআর