অবশেষে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে আধিপত্য কমতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার। তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে নতুন চুক্তিতে যেতে অনিচ্ছুক বোর্ড, জানিয়েছেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
২০১০-এ প্রথম তার পা পড়েছিলো মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। বলা হয় তৎকালীন লঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তালমিল থাকায় পাকাপোক্ত হয়েছিল তার চাকরিটা। পরে অবশ্য চন্ডিকা দুই দফায় এসে বিদায় হয়ে গেছেন নানা আলোচনার জন্ম দিয়ে, কিন্তু টিকে আছেন গামিনি ডি সিলভা।
বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনামের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্কেরও গুঞ্জন শোনা গেছে অনেক। তাই তো মিরপুরের উইকেট নিয়ে ক্রিকেটার থেকে বিশ্লেষক, সবাই সমালোচনা করলেও কীভাবে যেন টিকে যান গামিনি।
শেষবার ২০২৩ সালে তার চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই ২০২৫ জুলাই পর্যন্ত নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করে ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সমালোচনার ঘেড়াটোপ থেকে মুক্তি পাননি গামিনি। তার কর্মকাণ্ডে বিরক্ত স্থানীয় কিউরেটর থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররাও।
অবশেষে তার সঙ্গে গাটছাড়া মুক্ত হচ্ছে বোর্ড। আপাতত জুলাইয়ের পর গামিনির সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে খুব একটা ইচ্ছুক নয় বিসিবি। জানিয়েছেন স্বয়ং গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যানই। তবে, পরিবর্তীত সময়ে নতুন একটা পরিকল্পনায় হাঁটছে বোর্ড, তাই তাদের পছন্দমতো কাউকে না পাওয়া পর্যন্ত গামিনিতেই ভরসা বিসিবির।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমরা একজন ট্রেইলি কিউরেটর খুঁজছি। কাউকে পেয়ে গেলে কোনো বিদেশিকে আর রাখব না। সেই (ট্রেইনি কিউরেটর) সারা দেশে আমাদের ট্রেইনিং করাবে।’
টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির রজতজয়ন্তীতে ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণে হাত দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে রয়েছে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টাও। সে কারণেই কিউরেটরদের দক্ষতা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল টবি লামসডেনকে। ট্রেনিং শেষে সন্তুষ্ট বোর্ড। আশা আগামীতে আরও বড় পরিসরে এবং নিয়মিত হারে এ আয়োজন করা হবে।
এমআর