নেতানিয়াহুকে পশ্চিম তীর দখলে নিতে বললেন ১৪ মন্ত্রী

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর দখলে নিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের ১৪ মন্ত্রী। তাদের দাবি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে।

বুধবার রাতে এই চিঠিটি নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় এবং উগ্র-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যমে সেটি প্রকাশ করেন। চিঠিতে বলা হয়, জুলাইয়ের ২৭ তারিখে শেষ হতে যাওয়া পার্লামেন্টের গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই ‘জুডিয়া ও সামারিয়া’ (ইসরায়েলি পরিভাষায় পশ্চিম তীর)–তে সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা হোক।

ইসরায়েলি এই মন্ত্রীদের দাবি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশলগত সমর্থন ও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। আর তাই এটিই পশ্চিম তীর দখলের জন্য “উপযুক্ত সময়”।

তারা হুঁশিয়ারি দেন, যদি কেবল কিছু বসতি এলাকাকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়া হয়, তবে তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য “চরম হুমকি” হয়ে দাঁড়াবে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ইসরায়েলি মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন— প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থনীতিমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী, পরিবহনমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী, উদ্ভাবন, সংস্কৃতি, প্রবাস বিষয়ক, শিক্ষা, সামাজিক সাম্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতামন্ত্রী। এছাড়া ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাও এতে স্বাক্ষর করেছেন।

অবশ্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে যে পশ্চিম তীর একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই অঞ্চলের যে কোনও অংশ ইসরায়েল দখল করলে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি সমাধান ভেঙে পড়বে। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চালানো হামলার সময়কালেই পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ বসতির বাসিন্দাদের হাতে অন্তত ৯৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।



ইউটি/এসএন



Share this news on:

সর্বশেষ

img
মূল লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে না মস্কো, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার Jul 04, 2025
img
ঋতুপর্ণা হলেন বাংলাদেশের মেসি, বললেন বাফুফে কর্মকর্তা Jul 04, 2025
img
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে : গভর্নর Jul 04, 2025
img
ইতিহাসে প্রথমবার, ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ হবে মক্কায় জুমার খুতবা Jul 04, 2025
img
ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 04, 2025
img
মাল্টা ও লিবিয়া উপকূলে অভিযান, উদ্ধার ১১৭ অভিবাসী Jul 04, 2025
img
বনানীর জাকারিয়া হোটেল হামলা: অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেফতারে চলছে পুলিশের অভিযান Jul 04, 2025
img
পিআর চায় অযোগ্যরা, ব্যালট চায় জনগণ : আমিনুল হক Jul 04, 2025
img
ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের Jul 04, 2025
img
বিয়ের আগের দিন ক্যাম্পাসে এসে আটক জবি ছাত্রলীগ নেতা Jul 04, 2025
img
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব ও মাশরাফির মতো আমারও ভুল হয়েছে’ Jul 04, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান ক্লাসেনের Jul 03, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করায় একই কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Jul 03, 2025
img
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পঞ্চাশ বছরেও কোনো সরকার বন্ধ করতে পারে নাই : নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
পনেরো বছর পর গানে ফিরলেন শঙ্কর চক্রবর্তী Jul 03, 2025
img
‘বর্ডার ২’ করলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দিলজিতের Jul 03, 2025
স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক;শ্রীঘরে মানবাধিকার কর্মী Jul 03, 2025
বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে যে জটিলতার কথা জানালেন তারেক Jul 03, 2025
ছোট উদ্যোক্তাদের বিপদে ফেলতে পারে বিটিআরসি নীতি, অভিযোগ বিএনপির Jul 03, 2025