কখনো কখনো সিনেমা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। এক অদৃশ্য রক্তচাপ চেপে বসে দর্শকদের মনে। “ওয়ার ২” সেই রকমই এক চলচ্চিত্র—যেখানে রূপালি পর্দার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল যুদ্ধ। ভারতের স্পাই ইউনিভার্সে এবার মুখোমুখি হৃতিক রোশন ও জুনিয়র এনটিআর। পরিচালনায় আয়ান মুখার্জি, আর মুক্তির দিন ১৪ আগস্ট ২০২৫—স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন, যখন দেশপ্রেম আর উত্তেজনার মিশ্রণ তৈরি করবে এক নতুন আবেগ।
প্লট বলছে, হৃতিক রোশন অভিনীত কবির আর আগের মতো নেই। একসময় যিনি ছিলেন দেশের সেরা গুপ্তচর, এখন পরিণত হয়েছেন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এক দাগী অপারেটিভে। তাঁকে থামাতে নামানো হয়েছে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র—ভিক্রম। এই চরিত্রে জুনিয়র এনটিআর, যিনি এক সর্বনাশা ইউনিটের সদস্য, মিশন তার কাছে আবেগ নয়, কর্তব্য। তিনি একবার নিশানায় রাখলে, পিছন ফিরে তাকান না।
এই কবির বনাম ভিক্রম সংঘর্ষকে বলা হচ্ছে “ক্যাট বনাম রটওয়েইলার” লড়াই। যে যুদ্ধে শুধু গুলি নয়, রক্তপাত, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, বিশ্বাসঘাতকতা আর মূল্যবান জীবনের হিসেব আছে। যুদ্ধক্ষেত্র সীমাবদ্ধ নয় একটি দেশে, ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়।
AMC থিয়েটারস-এর পক্ষ থেকে টার্মিনেটর ঘরানার তুলনা তুলে ধরা হয়েছে ভিক্রম চরিত্রের ক্ষেত্রে। আবেগহীন, লক্ষ্যভেদী, অপ্রতিরোধ্য—প্রায় আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সেই কিংবদন্তি সাইবার ঘাতককে মনে করিয়ে দেয় এই চরিত্র। যদিও "ওয়ার ২" মূলত এক গুপ্তচর থ্রিলার, তবে টার্মিনেটর ঘরানার সেই ক্লাসিক শিকার-শিকারি সাসপেন্স এতে মিশে গেছে রক্তের মতো।
ছবির টিজারে দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক লোকেশনে শুটিং, বিস্ফোরক অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং আগের "ওয়ার"-এর তুলনায় অনেক বেশি গাঢ় ও ডার্ক টোন। হৃতিক ফিরছেন আরও নিষ্ঠুর, আরও বিধ্বংসী কবির রূপে। অন্যদিকে জুনিয়র এনটিআর নিজেকে এই সিনেমা দিয়েই বলিউডে স্থায়ী করার প্রস্তুতিতে। সঙ্গে রয়েছেন কিয়ারা আদভানি, যার উপস্থিতি এই ছবিকে আরও বড়, সর্বভারতীয় মাত্রা এনে দিয়েছে।
এই সিনেমা কেবল একটি সিক্যুয়েল নয়—এটি এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ, যেখানে দুটি শক্তির মুখোমুখি সংঘর্ষে ধরা পড়বে বিশ্বাস, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ আর প্রতিশোধের কাহিনি। আয়ান মুখার্জির পরিচালনায় 'ওয়ার ২' হতে চলেছে এমন এক অভিজ্ঞতা, যাকে কেবল দেখা যাবে না, অনুভব করতে হবে প্রতিটি ধাক্কায়।
এসএন