ভারতের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে দুই বোর্ডের বর্তমান অবস্থান থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, আগস্টে সিরিজটি আর হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
হাই-ভোল্টেজ এই সিরিজটি আয়োজনের জন্য চেষ্টা করছিল বিসিবি। কিছুদিন আগে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছিলেন এমনটাই। তবে এখন পর্যন্ত বিসিবি ও ভারতের ক্রিকেট বোর্ড সিরিজটি কবে আয়োজন করা যাবে— সে বিষয়ে কোনো রূপরেখা তৈরি করতে পারেনি।
এই সিরিজের অনিশ্চয়তা বিসিবির মিডিয়া স্বত্ব নীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। এক বিসিবি কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, 'ভারত সিরিজের সূচি এখনো ঠিক হয়নি। বিসিসিআই জানিয়েছে, তাদের পক্ষে আগস্টে বাংলাদেশ সফর করা কঠিন।'
এদিকে এফটিপিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় বিসিবির পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত মিডিয়া স্বত্ব একসঙ্গে বিক্রি করার। বড় দলের উপস্থিতির কারণে সেই প্যাকেজে উচ্চমূল্যের আশা করেছিল তারা। কিন্তু ভারত না এলে ওই প্যাকেজের আকর্ষণ অনেকটাই কমে যায়। ফলে এখন বিকল্প পরিকল্পনায় যাচ্ছে বিসিবি। জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের হোম টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। আপাতত ওই সিরিজটির জন্য আলাদাভাবে মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করা হচ্ছে।
মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা বাজার গবেষণা করতে সময় নেব। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। আমরা ভিন্ন ভিন্ন সিরিজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি করতে পারি।'
ভারতীয় একটি সম্প্রচার সংস্থা ক্রিকবাজকে জানিয়েছে, 'তারা (বিসিবি) জানিয়েছে, আপাতত ভারত সিরিজ হচ্ছে না। মিডিয়া স্বত্বের বিজ্ঞপ্তি দিলেও টেন্ডার আহ্বানপত্র গ্রহণ করছে না। আপাতত পাকিস্তান সিরিজের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
ক্রিকবাজের দাবি, বিসিসিআইয়ের ভারত সফর স্থগিত রাখার পেছনে কূটনৈতিক কারণও থাকতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান (অন্তবর্তীকালীন) সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কিছুটা গড়পড়তা থাকায় ভারত সরকার বিসিসিআইকে এই সফর না করার পরামর্শ দিয়েছে। ফলে শিগগিরই সিরিজটি মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ইউটি/এসএন