প্রথমার্ধের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ ছাপিয়ে বড় ঘটনা জামাল মুসিয়ালার ইনজুরি। পিএসজির গোলরক্ষক দোন্ননারুমার সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাজেভাবে অ্যাঙ্কেল ভেঙে গেছে এই জার্মান ফরোয়ার্ডের। ঘটনাবহুল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দেজিরে দুয়ের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই ১০জনের দলে পরিণত হয় প্যারিসিয়ানরা। নির্ধারিত সময়ের শেষের দিকে আরও একজনকে হারায় পিএসজি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানো দূরের কথা, নয়জনের পিএসজির কাছে উল্টো আরেক গোল খেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালেই বাদ পড়ল বায়ার্ন মিউনিখ।
শনিবার (৫ জুলাই) আটলান্টায় কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ৯জনে পরিণত হওয়া পিএসজি। দুয়ের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর যোগ করা সময়ে উসমান দেম্বেলে গোল করে প্যারিসিয়ানদের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেন।
আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে ঠাঁসা ম্যাচে গোলপোস্টের নিচে নিজ নিজ দলের ভরসার প্রতিদান দিয়ে বেশ কিছু ভালো সেভ করেছেন পিএসজির গোলরক্ষক দোন্নারুমা ও বায়ার্নের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যার। পিএসজি ১১টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে, বায়ার্নও ১৩টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিএসজির বক্সে বলের দখল নিতে গিয়ে গোলরক্ষক দোনারুম্মার সঙ্গে ধাক্কা খান বায়ার্নের ফরোয়ার্ড মুসিয়ালা। এই ধাক্কায় বায়ার্নের এই তারকা ফরোয়ার্ডের পায়ের আঙ্কেল ভেঙে যায়।
যে দৃশ্য দেখে ভড়কে যান দুদলের খেলোয়াড়রাই। স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ সময়ের জন্য মুসিয়ালা ফুটবল থেকে ছিটকে গেলেন। এমনকি এই চোটে তার ক্যারিয়ার নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুসিয়ালার বদলি হিসেবে সার্জ গ্যানাব্রি মাঠে নামেন।
অবশেষে ৭৮ মিনিটে ম্যাচের ডেডলক ভাঙে। ডি-বক্সের বাইরে হেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠান দুয়ে। শটে খুব বেশি গতি না থাকলেও পিছলে যাওয়ায় শট আটকানোর চেষ্টাও করতে পারেননি নয়ার।
তবে এগিয়ে যাওয়ার চার মিনিট বাদেই ১০জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। লিওন গোরেৎজেকাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেন্টারব্যাক উইলিয়াম পাচো।
নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা ছয় মিনিট সময়ের শুরুতে আরেক ধাক্কা খায় পিএসজি। দুয়ের বদলি নামা ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ বায়ার্নের রাফাল গুরেরোর মুখে কনুই মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। তাতে নয়জনের দলে পরিণত হয় ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। নয়জনের দল নিয়েও আক্রমণ থামায়নি পিএসজি। তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্কোলার বদলি নামা উসমান দেম্বেলে। আশরাফ হাকিমির পাস ধরে গোল করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
শেষ সময়ে নিজেদের ডি-বক্সে বায়ার্নের টমাস মুলারকে ফেলে দিয়েছিলেন নুনো মেন্ডেস। রেফারি প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন, তাতে ক্ষীণ আশার প্রদীপ দেখতে পাচ্ছিল ব্যাভেরিয়ানরা। কিন্তু ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি।
সেমিফাইনালে পিএসজি প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ীকে।