কোনো চাঁদাবাজকে ক্ষমতায় বসাতে ২৪ শে মানুষ জীবন দেয়নি : আখতার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, অনেকেই ভাবছেন শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতার পালাবদল ঘটিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে সেই পুরোনো কায়দায় শোষণ করার। জনগণ জানান দিতে চায়, ২৪ শে আমরা জীবন দিয়েছি, আর কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাতে নয়। আর কোনো শোষণকারী ও জুলুমবাজকে ক্ষমতায় বসাতে নয়। যদি দেশের মানুষের মানবিক মর্যাদাকে রক্ষা করতে হয়। তবে বাংলাদেশে অবশ্যই মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।

শনিবার (৫ জুলাই) নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে আয়োজিত পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পঞ্চম দিনে নওগাঁ জেলা এনসিপি এ পথসভার আয়োজন করে।

আখতার হোসেন বলেন, ২৪ এর নির্বাচনের পর আমরা ভেবেছিলাম শেখ হাসিনার মৃত্যু ছাড়া বা বাংলাদেশের জনগণের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আমাদের হয়তো আর মুক্তি সম্ভব না। কিন্তু ২৪ এর অভ্যুত্থানের সময় আমরা খেয়াল করেছি আমাদের তরুণ ছাত্রদের হাতে, রিকশাচালকদের হাতে, সাধারণ মানুষদের হাতে একটি অস্ত্রও ছিল না। সাধারণ মানুষ, তরুণ ছাত্র জনতা খালি বুক নিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে, জীবন দিয়েছে, জীবন দিতে পিছপা হয়নি। জীবন দিয়েই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। সেই ২৪ এর সৈনিকেরা বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। তারা যতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত আছে ততক্ষণ পর্যন্ত জুলাইয়ের চাওয়াকে নাই করে দেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অত্যাচারে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার ভাইকে জেলখানায় জীবন শেষ করে দিতে হয়েছে। আয়না ঘরের মধ্যে আমাদের ভাইদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। ওই আওয়ামী লীগ পিলখানায় গণহত্যা করেছে, ৫ মে শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম ওলামাকে নির্বিচারে গুলি করে গণহত্যা করেছে।

ওই আওয়ামী লীগ ২৪ এবং ১৮ সালে রাতের পাতানো একতরফা নির্বাচন করেছে। ওই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ওই আওয়ামী লীগ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশের ছাত্র জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। সেই আওয়ামী লীগকে অবশ্যই অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আওয়ামী লীগ এবং তাদের গুন্ডা নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মনিরা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ মন্তব্য নাহিদের Jul 07, 2025
img
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮, নিখোঁজ ১১ Jul 07, 2025
img
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে Jul 07, 2025
‘সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে দাদাদের, সেই দিন শেষ’ Jul 07, 2025
img
‘আমরা আপনাদের নিরাশ করব না, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চাই’ সংবর্ধনায় ঋতুপর্ণা-আফঈদার প্রতিশ্রুতি Jul 07, 2025
img
নারী ফুটবলারদের সম্মানে মধ্যরাতে সংবর্ধনা দিল বাফুফে Jul 07, 2025
img
বিএনপির দুইপক্ষের অস্থিরতা, চিলমারীতে পুলিশের টহল জোরদার Jul 07, 2025
img
স্মৃতির ওজন নিয়ে রাম কাপুরের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক Jul 07, 2025
img
মণিরত্নমের পর এবার রণবীরের সঙ্গে! কে এই সারা অর্জুন? Jul 07, 2025
img
পাকুন্দিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা Jul 07, 2025
img
জীবন থাকতে বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোন ধরনের পুনর্বাসনই আমরা হতে দিব না: হাসনাত আবদুল্লাহ Jul 07, 2025
img
'তারেক রহমানের অপেক্ষায় গোটা বাংলাদেশ' Jul 07, 2025
img
জুলাই পদযাত্রা নিয়ে মুখ খুললেন ছাত্রনেতা রাফি Jul 07, 2025
img
নেতানিয়াহুর ওপর চটেছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী Jul 07, 2025
img
অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষা পেতে মঞ্চ নাটকের পুনর্জাগরণ প্রয়োজন Jul 07, 2025
img
এমন কোনো জায়গা নাই যেখানে বিএনপি চাঁদা তোলে না: ফয়জুল করিম Jul 07, 2025
img
তেলের বাজারে বড় ঘোষণা, আগস্টে বাড়ছে উৎপাদন Jul 07, 2025
img
মাহভাশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন চাহাল Jul 07, 2025
img
আরে কারে ভয় দেখান? আমাদের হারানোর কিছুই নাই: হাসনাত আবদুল্লাহ Jul 07, 2025
img
ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরলেন নারী ফুটবলাররা Jul 07, 2025