সংস্কার ও জুলাই সনদে বাধা দিলে রাজপথে প্রতিরোধ করা হবে: আখতার হোসেন

মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রে কেউ বাধা দিলে আবারও রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আয়োজিত পথসভায় এ কথা জানান তিনি।

আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে কেউ যদি মৌলিক সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করে, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র কেউ যদি আটকে রাখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জুলাইতে যেমন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষেরা রাজপথে ছিল, সেইভাবে আবারো প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মর্যাদা, অধিকার, ঐতিহ্য নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করবে, কিন্তু বাংলাদেশের দিকে ভারত, চীন বা আমেরিকা কেউ আঙুল উঁচিয়ে কথা বলার সাহস করবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে এসেছেন। কিন্তু নতুন যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠত হয়েছে সেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে আমরা আর কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। যে রক্ত, শ্রম ও জীবনের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই নতুন বাংলাদেশে পুরাতন সিস্টেম বা কায়দায় চলতে পারে না। বাংলাদেশকে নতুন কায়দায় নতুনভাবে পরিচালনা করতে অবশ্যই একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা। এই স্লোগানকে সবচেয়ে বেশি ধারণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ। শেখ হাসিনা মাঝে মধ্যে ঢুপ করে ঢুকে পড়তে চায়। আর চাঁপাইনবাবঞ্জের মানুষ তখন বলে, শেখ হাসিনা ঢুকুক, তাকে ধরে আম গাছের সাথে বেঁধে রাখবো। এছাড়া গণহত্যার বিচার করা হবে। বাংলাদেশের মানুষের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে এই আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারীরা যে নির্মম নির্যাতন করেছে আর সেই নির্যাতনকে সায় দিয়ে দিল্লির সরকার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মনিরা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফের পাকিস্তানি তারকাদের নিয়ে কঠোর অবস্থানে ভারত Jul 07, 2025
img
৫ মাস পর জাতীয় নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 07, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর কুয়েত সিটি, ঢাকার অবস্থান ২৬তম Jul 07, 2025
img
গাজা ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮১ জনের Jul 07, 2025
img
দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল Jul 07, 2025
img
দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 07, 2025
আ.লীগের নাম, তার ইতিহাস, তার অবদান ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়: রনি Jul 07, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Jul 07, 2025
সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ মন্তব্য নাহিদের Jul 07, 2025
img
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, নিখোঁজ ৪১ Jul 07, 2025
img
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে Jul 07, 2025
‘সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে দাদাদের, সেই দিন শেষ’ Jul 07, 2025
img
‘আমরা আপনাদের নিরাশ করব না, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চাই’ সংবর্ধনায় ঋতুপর্ণা-আফঈদার প্রতিশ্রুতি Jul 07, 2025
img
নারী ফুটবলারদের সম্মানে মধ্যরাতে সংবর্ধনা দিল বাফুফে Jul 07, 2025
img
বিএনপির দুইপক্ষের অস্থিরতা, চিলমারীতে পুলিশের টহল জোরদার Jul 07, 2025
img
স্মৃতির ওজন নিয়ে রাম কাপুরের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক Jul 07, 2025
img
মণিরত্নমের পর এবার রণবীরের সঙ্গে! কে এই সারা অর্জুন? Jul 07, 2025
img
পাকুন্দিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা Jul 07, 2025
img
জীবন থাকতে বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোন ধরনের পুনর্বাসনই আমরা হতে দিব না: হাসনাত আবদুল্লাহ Jul 07, 2025
img
'তারেক রহমানের অপেক্ষায় গোটা বাংলাদেশ' Jul 07, 2025