আরেকবার কানাডিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্নভঙ্গ হলো ক্যালগারির ক্লাব ক্যাভালরি এফসির। কিন্তু মাঠে পরাজয়ের পরও হার মানছেন না বাংলাদেশি তারকা মিডফিল্ডার শমিত সোম। দলের হৃদয়ভাঙা রাতেও তিনি যেন আশার প্রদীপ।
এটিসিও ফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ভ্যাঙ্কুভার এফসির কাছে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৫-৪ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় ক্যাভালরি।
ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে, কিন্তু ভাগ্য নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে।
ম্যাচ শেষে স্পষ্ট ভাষায় বললেন সোম বলেন, ‘অবশ্যই আমরা হতাশ। অনেক দিন পর আমরা সেমিফাইনালে যেতে চেয়েছিলাম। দল হিসেবে একসঙ্গে লড়াই করছিলাম, কিন্তু পেনাল্টি এমনই — এখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।'
প্রথমবার ২০১৯ সালে সেমিফাইনালে খেলেছিল ক্যাভালরি। এরপর ছয় বছর কেটে গেলেও কানাডিয়ান ফুটবলের এই মর্যাদাপূর্ণ ট্রফির খোঁজে আরও একবার থেমে যেতে হল তাদের।
ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভ্যাঙ্কুভার প্রথমে এগিয়ে যায়। ২৩ মিনিটে এলাজ বাহকে ফাউল করায় পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি।
পেনাল্টি থেকে গোল করে ভ্যাঙ্কুভারকে এগিয়ে দেন নিকোলাস মাজকুইদা।
এরপর ৬৬ মিনিটে এক নাটকীয় গোলে সমতা ফেরায় ক্যাভালরি — মিহাইল গেরাসিমেনকভের শট প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়।
তবে শ্যুটআউটে সোমদের ভাগ্য সহায় ছিল না। দলের নির্ভরযোগ্য টোবিয়াস ওয়ার্সচিউস্কি মিস করেন প্রথমে। পরে কানিগিয়া এলভা, গেরাসিমেনকভ, ফ্রেজার এয়ার্ড এবং আলি মুসে গোল করলেও শেষ মুহূর্তে মায়েল হেনরির শট ঠেকিয়ে দেন ভ্যাঙ্কুভার গোলরক্ষক ক্যালাম আরভিং।
ক্লাব কোচ টমি হুইলডন জুনিয়র বলেন, ‘আমরা সবসময় ফলাফলটাই দেখি। তৃতীয়বারের মতো কান চ্যাম্পিয়নশিপে পেনাল্টিতে হারলাম। এখন আমাদের চোখ সামনের ম্যাচের দিকে।’
কিন্তু এই কঠিন সময়ে মিডফিল্ডের লড়াকু সেনা শমিত শোমে ছিলেন দৃঢ় মনোভাবাপন্ন। মধ্যমাঠে ৮৫ শতাংশ সঠিক পাস দেয়ার পাশাপাশি গ্রাউন্ড ডুয়েল ৮ টি ও অ্যারিয়েল ডুয়েলের সবকটি জিতেছেন তিনি।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর পেছনে ফিরে না তাকিয়ে, সামনে এগোনোর বার্তা দিয়ে শমিত জানিয়ে দিলেন—ভবিষ্যতে আবারও আসবে সেই সুযোগ। আর তখন হয়তো ইতিহাস পাল্টে যাবে।
এমআর/এসএন