একশ বছরে পা দিলেন মালয়েশিয়ার প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ১০০তম জন্মদিনে রীতিমতো শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থেকে শুরু করে দেশের কোটি কোটি
১৯২৫ সালের ১০ জুলাই জন্ম নেন মাহাথির। তাকে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার বলা হয়। একটা উন্নয়নশীল দেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে শামিল করেছেন তিনি। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে রাজনীতির ময়দানে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
মাহাথির দেশ ও জাতির পাশাপাশি নিজেকেও এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। যে কারণে দেশে-বিদেশে এখনও সমান জনপ্রিয় তিনি। তিনি ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে এবং ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) একশ বছরে পা দেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক। আর দিনটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে-অফলাইনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে ভক্ত ও অনুসারীরা। শুভেচ্ছা জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও।
পাল্টা বার্তায় জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাহাথির। নিজের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বিশেষ পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘শতবর্ষে পদার্পণ করাটা একই সাথে আশীর্বাদ ও ভয়ের।’
তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আমাকে আমার ১০০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন, ধন্যবাদ।’
মাহাথির আরও জানান, ১০০তম জন্মদিনে তিনি অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন। যারা কেক, ফুল ও চিঠি পাঠিয়েছেন এবং সরাসরি এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নিজের জন্মদিন নিয়ে বলতে গিয়ে মাহাথির বলেন, ‘আমি আজ সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি, ঘড়ির শব্দ শুনতে পাইনি এবং তখন ভোর ৫টা বাজে। তবে আজকের দিনটিও একটি স্বাভাবিক দিন হিসেবেই শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি পডকাস্ট আছে, আমরা মানুষের সাথে দেখা করতে পারছি এবং আমার মনে হয়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষ আমাকে দেখতে এসেছেন। তাই আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ এবং পডকাস্টের জন্যও ধন্যবাদ। কারণ এটি আমাকে এমন অনেক বিষয় ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়েছে যা নিয়ে আমি সবসময় কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
পডকাস্টে তিনি গাজার সংঘাতের মতো তার পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। এছাড়াও তিনি চীন ও জাপানের মতো এশীয় দেশগুলোর প্রশংসা করেন, যারা শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য তাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পেছনের কিছু ইতিহাস এবং কারা তাকে এই পথে সাহায্য করেছেন, সে বিষয়েও আলোকপাত করেন।
এসএন