গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে পৃথক দুই ঘটনায় আপনজনের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ও রাতে এ দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একইদিনে ঘটে যাওয়া দুটি হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা, শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামে আম খাওয়া নিয়ে প্রথমে তুচ্ছ বাকবিতণ্ডার জেরে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক ধারালো ছুরি দিয়ে তার আপন চাচা জিয়ারুল ইসলামকে (৫০) একাধিকবার আঘাত করেন। জিয়ারুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সংঘর্ষে আহত হন আরও অন্তত দুজন। তাদের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ঘটনার পর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
অপরদিকে, একই দিন বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামে কচুক্ষেত নিয়ে দুই সহোদর মামুন মিয়া ও আল আমিন মিয়ার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তাদের বিরোধ থামাতে গিয়ে চাচাতো ভাই ফুয়াদ মিয়া (৫০) ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মামুন মিয়া হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ফুয়াদ মিয়ার বুকের মধ্যে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ফুয়াদের স্বজনরা মামুনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নিহত ফুয়াদ মিয়া ওই গ্রামের আফজাল মাস্টারের ছেলে এবং অভিযুক্ত মামুন একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
ফরিদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম লাল চান বলেন, বন্ধকী জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাই। অভিযুক্ত মামুনকে সেখান থেকে আটক করা হয়েছে।
এমআর/টিএ