বাংলাদেশ সফরে এলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুট

বিশ্বব্যাংকের নবনিযুক্ত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট ঢাকায় পৌঁছেছেন। চার দিনের এই সরকারি সফরে জুট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

জুট চলতি বছরের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নতুন ভূমিকায় বাংলাদেশ তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। এর আগে তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জুট বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমার গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। আমি সবসময় বাংলাদেশের মানুষের সহনশীলতা, সৃজনশীলতা এবং তাদের সন্তানদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় সংকল্প দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশে ফিরে গত দশ বছরে অর্জিত রূপান্তরমূলক পরিবর্তনগুলো সরাসরি দেখার অপেক্ষায় আছি। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে থাকতে এবং প্রতি বছর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য আরও ভালো কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ডাচ নাগরিক জুট ১৯৯৯ সালে বিশ্বব্যাংকে যোগদান করেন এবং ক্রমবর্ধমান দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছেন। তিনি সম্প্রতি ব্রাজিলের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি অপারেশনাল পলিসি অ্যান্ড কান্ট্রি সার্ভিসেস ভাইস প্রেসিডেন্সিতে কৌশল, ফলাফল, ঝুঁকি এবং শিক্ষা পরিচালক ছিলেন। তিনি তুরস্ক, কমোরোস, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সেশেলস এবং সোমালিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্বব্যাংক প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিল যারা বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল। তখন থেকে বাংলাদেশকে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা সহজ শর্তে ঋণ। বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) দ্বারা সমর্থিত বৃহত্তম চলমান কর্মসূচিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের একটি রয়েছে।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অঙ্কনের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স! Oct 18, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে: রফিকুল ইসলাম খান Oct 18, 2025
img
সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য! Oct 18, 2025
img
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Oct 18, 2025
img
ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি’তে তুরস্কের অবদান রয়ে: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 18, 2025
img
চীনে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীর ৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত Oct 18, 2025
img
প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, প্রতিযোগিতার রাজনীতি করুন: জুয়েল Oct 17, 2025
img
শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারো না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ: মির্জা আব্বাস Oct 17, 2025
img
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের Oct 17, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের দাবিতে রঙ তুলিতে প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের Oct 17, 2025
img
আগামীকাল রিয়া মনিকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করব : হিরো আলম Oct 17, 2025
img
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল Oct 17, 2025
বাজারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হলে মুখ লুকাতে হয় Oct 17, 2025
img
মার্টিন ওডেগোর ছিটকে যাওয়ায় আর্সেনাল শিবিরে বড় ধাক্কা Oct 17, 2025
img
মরক্কোয় জেন-জি বিক্ষোভে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীকে কারাদণ্ড Oct 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের সেইফটি নিয়ে চিন্তিত: সারজিস Oct 17, 2025
img
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল Oct 17, 2025
img
গাজায় ৩ মাসের খাদ্য মজুত আছে : ডব্লিউএফপি Oct 17, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে অভ্যুত্থানে সঙ্গে বেঈমানি হবে : তাহের Oct 17, 2025
img
রংপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলার ঘটনায় সড়ক অবরোধ Oct 17, 2025