সুন্দরবনের পূর্ব রেঞ্জের শেলারচরে অভয়ারণ্য এলাকায় বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে একটি ট্রলারসহ ৬ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে আটকদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক জেলেরা হলেন: সিদ্দিক (৩০), লিটন (২৫), বিল্লাল (২৮), নাইম (২৫), ইয়ামিন (৩০) ও সাব্বির (২৫)। তাদের সবার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামে।আটক জেলেরা হলেন: সিদ্দিক (৩০), লিটন (২৫), বিল্লাল (২৮), নাইম (২৫), ইয়ামিন (৩০) ও সাব্বির (২৫)। তাদের সবার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামে।
বন বিভাগ জানায়, শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর পাড়ঘেঁষা শেলারচর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আব্দুস সবুরের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শেলারচরের একটি নিষিদ্ধ অভয়ারণ্য এলাকায় কিছু জেলে মাছ শিকার করছে। তাৎক্ষণিকভাবে বনরক্ষীরা জলযান নিয়ে সেখানে পৌঁছালে দেখতে পান, একটি ট্রলারে থাকা জেলেরা অবৈধভাবে মাছ ধরছে। বনরক্ষীরা এগিয়ে গেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ট্রলারসহ ছয় জেলেকে আটক করা হয়।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই সময়টি বন্যপ্রাণী প্রজনন ও মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম হওয়ায় সরকারি নির্দেশনায় জেলেদের বনে প্রবেশও নিষিদ্ধ। তবুও কীভাবে তারা প্রবেশ করল তা তদন্ত করা হচ্ছে। যদি আরও কেউ জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকদের বিরুদ্ধে বন অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত দুই দিন আগে একই ধরনের অপরাধে দুবলার চরের বনের গহীন এলাকা থেকে আরও তিনটি ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কেএন/এসএন