নরসিংদীতে পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে এবং রাতে রায়পুরা ও নরসিংদী সদরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় নরসিংদী রেলস্টেশনের অদূরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় তামিম রহমান (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তামিম পৌর শহরের বাসাইল এলাকার ফখরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে রায়পুরা উপজেলাতেও ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উজ্জ্বল মিয়া (৩৩) নামে ওই যুবকের খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। গতকাল দুপুরে উপজেলার দৌলতকান্দি রেলস্টেশন সংলগ্ন আউটার রেললাইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। উজ্জ্বল মিয়া রায়পুরার পিরিজকান্দি ইউনিয়নের সাধুনগর এলাকার মো. মাস্তো মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও রেলওয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই যুবক রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিরতিহীন আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি একাধিক বার হুইসেল দিলেও ওই যুবক রেললাইন থেকে সরে না যাওয়ায় একপর্যায়ে ওই ট্রেনে কাটা পড়ে তার শরীর খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তার ছোট ভাই রাকিব মিয়া ঘটনাস্থলে এসে পড়নের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, দুপুরে ও রাতে পৃথক স্থানে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে যিনি মারা গেছেন তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে তামিমের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএন/টিকে