বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ সৌজন্য সাক্ষাতে দুই দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ ও সদস্য ইসরাফিল আতিক উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল কিম জিয়ং কি এবং হাইসাং টিএনসি করপোরেশনের কান্ট্রি হেড নোহ চি উত্ত।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যান-মেইড ফাইবার, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ডাইস ও অন্যান্য কাঁচামালের জন্য বাংলাদেশ একটি প্রতিশ্রুতিশীল বাজার। অন্যদিকে, কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পোশাক রপ্তানি গন্তব্য।
তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার কারিগরি ও প্রশিক্ষণমূলক সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং কোরিয়ায় রপ্তানি বাড়ানো ও বাংলাদেশে অ-বস্ত্র খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ উৎসাহিত করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে উভয় দেশের বাজারসংক্রান্ত জ্ঞান বিনিময় এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি করা জরুরি।
রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইপিজেড আইন, ২০১৯-কে শ্রম আইন ২০০৬–এর সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করা প্রয়োজন। তিনি শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও কার্যকর করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন। তারা মত প্রকাশ করেন, এসব চুক্তি হলে উভয় দেশই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উপকৃত হবে।
এফপি/এস এন