সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বেতন গ্রেড উন্নীত করার প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে সরকারের বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ৩৪১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
ডিপিইর পাঠানো এই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই অফিস আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিপিইর পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে রিটকারী ৪৫ জন শিক্ষক ছাড়াও অন্য সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড উন্নীত করা সম্ভব হবে। তবে এটি কবে নাগাদ কার্যকর হবে, এ বিষয়ে দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মোট পদ রয়েছে ৬৫,৫০২টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩২,৩৫২ জন। গত ১৯ জুন উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন বিদ্যমান গ্রেড ১১ থেকে ১০-এ উন্নীত করে অফিস আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। এ রায়ের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ১৩ জুন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। সেদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন।
টিকে/