বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘এই ১০ মাস যাবৎ কোর্ট যেভাবে চলছে, এইভাবে কোর্ট কোথাও চলে না। আওয়ামী লীগের আমলে ১৫ বছর কোনো উকিল জেলে যায়নি। জেলে গেলেও তিন দিনের বেশি থাকতে হয়নি। বিএনপির কোনো সিনিয়র অ্যাডভোকেট কোনো দিন জেলে যাননি।
এমনকি বিএনপির কোনো নেতা হাইকোর্টে যদি আসছেন, বেল হয়নি—এমন কোনো নেতা নেই। শুধু বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সাহেব সম্পর্কে তাদের অনৈতিক এবং বেআইনি একটা অ্যাটিচিউড ছিল।’
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মতো নেত্রীকে জেলখানায় কিন্তু অন্য যারা আছে আমি বিএনপি হয়ে বলছি হয়তোবা বিএনপির লোকজন আমার প্রতি অখুশি যে ফজলুর রহমান কী বলে, হ্যাঁ বিএনপির কোনো উকিল কেউ জেলে থাকেননি বা বড় নেতা যারা কেউ জেলে থাকেননি।
গেছেন জেলে কিন্তু হাইকোর্টে বেল পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই যে মব জাস্টিস, অমুক-তমুক যেভাবে কথাবার্তা কয় দেশের বিরুদ্ধে, আমার সব কথারই কথা আছে, কিন্তু আমার সর্বোচ্চ কথা হলো যে রাজাকারের বাচ্চারা বলে, আলবদরের বাচ্চারা, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো বলে, স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানরা এখনো বলে বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের ফসল। মুক্তিযুদ্ধ বলে কোনো জিনিস হয়নি। এই কালকেও বলছে।
কিসের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে? এ ইন্ডিয়া লাগায়া দিছে ষড়যন্ত্র কইরা। যারা এই মুক্তিযুদ্ধকে ষড়যন্ত্র বলে, আমি হলাম তাদের বিরুদ্ধে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন সবাই বলে আরে আল্লাহ ফজলুর রহমান তো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতেছে, এটাও যদি বিএনপি না বুঝে তাইলে আমার কপাল খারাপ। মুক্তিযুদ্ধ যদি না থাকে আমি বাঁচতে চাই না, মুক্তিযুদ্ধ না থাকলে বাংলাদেশ থাকে না কারণ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বলে পাকিস্তান ধ্বংস হয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই মুক্তিযুদ্ধকে যারা স্বীকার করে না বা স্বীকার করতে চায় না তারা চায় পাকিস্তান।
তারা তাদের বাপের দেশে যাইতে চায়, তাদের যে বাবারা ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী হিসেবে এখানে আইসা আমার ৩০ লাখ লোককে হত্যা করেছিল, আমার দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছিল।’
এসএন