জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, মৌলিক সংস্কারের প্রশ্ন যখন আসছে, যখন সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটা সমন্বিত নিয়োগ কমিটির কথা আসছে, তখন সেখানে বিএনপি বেঁকে বসছে। যখন চেক এন্ড ব্যালেন্সের জন্য উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা আসছে, তখন দলটি সেখান থেকে সরে আসছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটা ভাঙা পা নিয়ে চলছে। সেই ভাঙা পায়ে বিএনপি ব্যান্ডেজ করেছে। তারা স্যাভলন দিয়েছে। কিন্তু হাড়টাকে জোড়া লাগাতে হবে, সেই জায়গাটাতে এসে দলটি বেঁকে বসেছে। তাদের (বিএনপির) কথা হলো ব্যান্ডেজ করেছি, স্যাভলন দিয়েছি। এটাই যথেষ্ট। এটাই মেনে নাও। হাড়টাকে জোড়া লাগানো এতদূর পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কথা স্পষ্ট, মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো ছাড় দেবে না।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এনসিপি নেতা আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যে দলগুলোর অন্তত এক শতাংশ ভোট রয়েছে তারাও যদি উচ্চকক্ষে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, সেক্ষেত্রে একটা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার জায়গা আমরা নিশ্চিত করতে পারবো। উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন হতে হবে। এটাকে আমরা অবশ্যই একটি মৌলিক সংস্কারের অংশ মনে করি এবং গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কারের অংশ বলেই আমরা এটাকে মনে করি। মৌলিক সংস্কারের মোটা দাগের যে বিষয়গুলো আছে সেই প্রশ্নটা উত্থাপিত হলেই বিএনপির তরফ থেকে এবং তাদের সঙ্গে আরও গুটিকয়েক দল তারা সেখানে বাধা তৈরি করছে এবং তারা সেখানে ঐকমত্যের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। এজেন্ডাগুলো যাতে ঐকমত্যের আলোচনার মধ্যেই না থাকে তেমন ধরনের একটা পরিবেশ এখানে তৈরি করার চেষ্টা করছে।
এসএন