গোপালগঞ্জে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে নগরের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এতে মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রায় সাড়ে ৯২ হাজার শহীদের মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ অর্থাৎ তেষট্টি হাজার শহীদের মুসলিম জাতীয়তাবোধের ওপর ভিত্তি করে ১৯৪৭-এর ১৪ আগস্ট আমরা ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ম্যান্ডেট মেনে নিতে অস্বীকার করায় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য। কিন্তু, দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে ইন্দো-আওয়ামী বয়ান সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্য নষ্ট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন ছিলো ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে পিষ্ট জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘণ্টা বেজে ওঠে। একই দিনে চট্টগ্রামে তিনজন এবং ঢাকার রাজপথে দু’জন শাহাদাত বরণ করেন। জাতি যখন জুলাই বিপ্লবের বার্ষিকী পালন করছে ঠিক তখনই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা হামলা, হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালায়।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- মহানগর সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিন, কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনূস এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
এমকে/টিএ