গতকালই নির্ধারিত অনুশীলন বাতিল করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের কারণে আজ (১৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক জ্যামও স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই ছিল। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান থেকে এসে একটু দেরিতে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য সব যুক্তিই প্রস্তুত ছিল সালমান আলী আগার। তবে পাকিস্তান অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে এলেন একদম নির্ধারিত সময়ে।
বাংলাদেশকে কিছুদিন আগেই হোয়াইটওয়াশ করা পাকিস্তান অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বেশ নির্ভার। তবে প্রতিপক্ষকে সম্মান দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি তিনি। নিজেদের কন্ডিশন তো বটেই, বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনেই বাংলাদেশকে ভালো দল বলে মন্তব্য করেছেন সালমান।
সালমান বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অ্যাওয়ে কন্ডিশন। যেকোনো মাঠ, যেকোনো ভেন্যু, যেকোনো দেশেই বাংলাদেশ ভালো দল। বিশেষ করে ঘরের মাঠে খেলা হলে তো খুবই ভালো দল। আমরা জানি কী কী চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে। মাঠে নামতে আমরা এক্সাইটেড এবং চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।’
গত ৯ বছরে পাকিস্তানকে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কাকে সদ্যই তাদের মাটিতে হারিয়ে আসা টাইগারদের হালকাভাবে নিতে চান না সালমানরা। অতীত পরিসংখ্যানের চেয়ে ম্যাচ বাই ম্যাচ পারফর্ম করার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে তার দল। সালমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে এত ভাবছি না, ভাবছি না ৯ বছর কী হয়েছে। আমরা আমাদের খেলায় মনোযোগ রাখছি। এই সিরিজও ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি বল ধরে ধরে এগোতে চাই। যদি তিনটি ম্যাচই জিততে পারি খুব খুশি হব।’
পাকিস্তানের দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়েরই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা এই সিরিজে কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন পাক অধিনায়ক, ‘আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড় বিপিএল খেলেছে, তাদের এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তারা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছে, পরিকল্পনাও জানিয়েছে।’
অধিনায়ক খুব একটা দুশ্চিন্তার ভাব না দেখালেও বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই ছক কষছে পাকিস্তান। সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার আগে পাকিস্তান দলপতি এসেছিলেন পিচ পরিদর্শনে। কথা বলেছেন কিউরেটর গামিনির সঙ্গেও। তবে পাকিস্তান অধিনায়ক পিচটা ঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন কি না, সেটা বোঝা যাবে আগামীকাল সফরকারীদের মাঠের পারফরম্যান্সে।
পিএ/টিএ