বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আজকের এই সাত দফা কেবল একটি রাজনৈতিক দল কিংবা আন্দোলনের ইশতেহার নয়, এটি এই জাতির টিকে থাকার শপথ। এই সাত দফা জনগণের দফা, সার্বভৌমত্বের দফা, আত্মনিয়ন্ত্রণের দফা। এই দফা বাস্তবায়ন মানে ইতিহাসের ভারসাম্য পুনর্গঠন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চান।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডিপি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা চাই, জনগণ ক্ষমতাবান হোক। আমরা চাই, সিদ্ধান্ত আসুক মানুষের হাত থেকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের নয়।
আনোয়ারুল ইসলাম চান বলেন, জুলাই ২৪’ শুধুই একটি তারিখ নয়, এটি আত্মত্যাগের প্রতীক। সে দিন ফ্যাসিবাদের চালকেরা পরাজিত হয়ে দেশ ছাড়ে। কিন্তু তারা আজ ফিরে এসেছে নতুন মুখোশে। কেউ কূটনৈতিক টেবিলে, কেউ প্রশাসনিক চেয়ার ধরে বসে আছে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, আধিপত্যবাদের মূল অস্ত্র হলো জাতিকে দ্বিধায় ফেলে দেওয়া, মানুষকে মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। সেই বিভাজনই স্বাধীনতার ভিত নড়বড়ে করে। তাই ঐক্য ছাড়া মুক্তি নেই।
বিডিপি চেয়ারম্যান বলেন, এত বড় সমাবেশ দেখে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। এই জমায়েত আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন থেকে আমাদের শপথ- আর কোনো স্বৈরতন্ত্র, আর কোনো কর্তৃত্ববাদ যেন ফিরে না আসে এই মাটিতে।
আনোয়ারুল ইসলাম চান বলেন, এই দেশ আমাদের। এই দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করে কেউ কখনো টিকে থাকতে পারেনি, পারবেও না। তাই বলার অধিকারকে ধারণ করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। এগুলোই গণতন্ত্রের বাতিঘর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লড়াই কোনো আসনে বসার নয়, বরং একটি বৈষম্যহীন, সার্বভৌম, আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র গড়ার লড়াই। এই লড়াই একদিন ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখবে- জনগণই হবে রাষ্ট্রের মালিক।
টিকে/