বর্ষীয়ান বলি অভিনেতা অনুপম খের সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার ও কিরণ খেরের দাম্পত্য নিয়ে এক বিস্ময়কর তথ্য শেয়ার করেছেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি ও তার স্ত্রী, সাংসদ ও অভিনেত্রী কিরণ খের এক ছাদের নিচে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আলাদা ঘরে বসবাস করছেন। তবে এর পেছনে কোনও দাম্পত্য জটিলতা নয়, বরং দু'জনেরই সম্মতিতে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুপম বলেন, “আমি এবং কিরণ এখন আলাদা ঘরে থাকি। আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই, বরং এটা আমাদের দু'জনের কমফোর্ট জোন। এই ব্যবস্থায় আমরা দু'জনেই নিজের মতো করে থাকতে পারি, যা আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।”
তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট।
অভিনেতা জানান, একসঙ্গে বহু বছর কাটানোর পর মানুষ বুঝে যায় কীভাবে একে অপরকে বেশি স্পেস দিলে সম্পর্ক আরও ভালো থাকে।
“কিরণ খুব কুসংস্কারাচ্ছন্ন। সে কল্পনাও করে যে, সবকিছু ভুল হচ্ছে। এখন আর তেমনটা হয় না, কিন্তু প্রথমে এটা ছিল। এখন আমাদের সবার আলাদা ঘর আছে, কারণ প্রত্যেকের নিজস্ব অভ্যাস আছে। আমাদের জীবনের আলাদা আলাদা রুটিন আছে। আমি খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠি, আর কিরণ একটু দেরিতে। তাই এক ঘরে থাকলে দু'জনের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে— যোগ করেন অনুপম।
প্রসঙ্গত, অনুপম ও কিরণ খেরের বিবাহ হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। তাদের পুত্র সন্তান সিকন্দর খের কিরণের আগের সংসারের সন্তান হলেও অনুপম তাকে নিজের সন্তান হিসেবেই বড় করেছেন।
বলিউডে এই দম্পতি বরাবরই শক্তিশালী জুটি হিসেবে পরিচিত। অনুপম ও কিরণের কোনও সন্তান নেই। নিজের সন্তান না থাকার শূন্যতাও অনুভব করেন অনুপম খের।
এক সাক্ষাৎকারে অনুপম এ বিষয়ে জানান, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সন্তানের ঘাটতি অনুভব করেননি। বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায়, ‘আমি শিশুদের নিয়ে অনেক কাজ করি। আমার ফাউন্ডেশন অনেক কাজ করছে। আমি শিশুদের খুব পছন্দ করি। আমি একটি বাচ্চাদের শো করতাম। যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি এরকম কিছু অনুভব করেছো? আমার জবাব হয়, হ্যাঁ সত্যিই শূন্যস্থান অনুভব করেছি।’
কেন তিনি ও কিরণ খের নিজেদের জীবনে কোনও সন্তান আসতে দেননি এ বিষয়ে অনুপম বলেন, ‘প্রথমদিকে আমাদের বাচ্চা আসতে সমস্যা হয়। পরে যখন কিরণ অন্তঃসত্ত্বা হয়, তখন গর্ভস্থ সন্তানের বিকাশ হচ্ছিল না ঠিক করে। অনেক চেষ্টা করেছিলাম আমরা। এরপর ভেবে দেখলাম সিকান্দারই আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল, এমনকী এখনও। যখন কিরণকে বিয়ে করি তখন সিকান্দারের বয়স ৪ বছর ছিল। সে কোনো অভাব টের পেতে দেয়নি।’
এফপি/ টিএ