বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে রোববার (২০ জুলাই) থেকে। তবে মাঠে ঢুকতে হলে দর্শকদের মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। শনিবার (১৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কয়েকটি শর্ত তুলে ধরে বিসিবি।
স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের খাবার বা পানি কিনতে খরচ করতে হয় অতিরিক্ত অর্থ, বহু দিন ধরেই এ নিয়ে অভিযোগ ছিল তাদের। আর এ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। কাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে দর্শকরা খাবার পানি নিয়েই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন।
তবে খাবার পানি নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হলে দর্শকদের মানতে হবে কিছু শর্ত। যেমন বিসিবির নিয়মকানুন ও স্পনসরদের প্রতি তার বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলা, আগ্নেয়াস্ত্র, লেজার পয়েন্টার ইত্যাদি জিনিসপত্র নিষিদ্ধ।
স্টেডিয়ামে প্রবেশের শর্তাবলি:
১। বিসিবির নিয়মকানুন এবং স্পনসরদের প্রতি তার বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।
২। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডের ভিতরে নিম্নলিখিত জিনিসপত্র নিষিদ্ধ: আগ্নেয়াস্ত্র, লেজার পয়েন্টার, ফ্লেয়ার, বিস্ফোরক, আতশবাজি, ম্যাচ/লাইটার, সিগারেট, ভিডিও ক্যামেরা, পেশাদার স্টিল ক্যামেরা, লাঠি সহ পতাকা, ভুভুজেলা, আয়না, ছুরি, ক্যান, ক্যাপ বা কর্কযুক্ত সব ধরনের বোতল, কাচের বোতল, বাঁশি এবং অন্য যে কোনো জিনিস যা তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য বিপজ্জনক/ হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচিত হয়।
৩। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডে কোনো ব্যক্তিগত ক্ষতি, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ক্ষতির জন্য বিসিবি দায়ী নয়।
৪। দর্শক যদি খেলার মাঠের ও দর্শক গ্যালারির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, হুমকিস্বরূপ মনে হয় অথবা দর্শকসাধারণের জন্য উপদ্রব সৃষ্টিকারী হয়, তাহলে বিসিবি এই দর্শককে প্রবেশে বাধা দেওয়া ও গ্যালারিতে প্রবেশ করে থাকলে উচ্ছেদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৫। বাইরের থেকে খাবার ও পানীয় নেয়া যাবে তবে তা নিরাপত্তাকর্মীরা যে কোন ভাবেই নিরাপত্তা তল্লাশি করার অধিকার রাখে ও তল্লাশি সাপেক্ষে তা প্রবেশের অনুমতি পাবে অন্যথায় নয়।
৬। স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে অননুমোদিত কোন প্রকার ব্র্যান্ডিং নিষিদ্ধ ।
৭। ক্রিকেটে দুর্নীতিমূলক যে কোন প্রকার কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য বিসিবি তার ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দোষীকে আইনের কাছে সোপর্দ করার অধিকার রাখে।
৮। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের বাজি নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য।
৯। বাজি বা এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের নিকট এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে।
১০। স্টেডিয়ামের সমস্ত স্ট্যান্ড ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকা।
১১। প্রতিটি দর্শক আইসিসির বৈষম্য বিরোধী নীতি মেনে চলতে বাধ্য, ব্যর্থ হলে স্টেডিয়াম থেকে উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
১২। কেহ যদি ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, অথবা অন্য কোন কিছুর মাধ্যমে, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, বর্ণ, বংশ, জাতীয়তা, জাতিগত উৎস, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা এবং/ অথবা মাতৃত্বের অবস্থার ভিত্তিতে অন্য কোনও ব্যক্তিকে (খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা বা দর্শকসহ) অপমান, ভয় দেখানো/হুমকি দেওয়া, অবমাননা করা বা অপমান করার সম্ভাবনা প্রদর্শন প্রতীয়মান হয়, এই কার্যকে স্টেডিয়াম থেকে বহিষ্কার এবং ফৌজদারি মামলা যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে করা হবে।
ইউটি/টিএ