মহাসমাবেশের পর ঢাবিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। 

শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক। এতে অংশ নেন শাহবাগ পশ্চিম থানা ও আশপাশের এলাকার জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী।

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশস্থলের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেকে নামাজ, খাবার ও বিশ্রামের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ব্যবহার করেন। ফলে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ শেষে নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেন।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, হাকিম চত্বর, কলাভবন সংলগ্ন আমতলা, অপরাজেয় বাংলা, মলচত্বর, ভিসি চত্বর ও টিএসসি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়।

অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ, এখানকার শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সচেতন। তাই নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি।

শাহবাগ পশ্চিম থানার কোষাধ্যক্ষ তানভীর আহমেদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। ক্যাম্পাসে নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে কিছুটা অপরিচ্ছন্নতা হয়। আমরা চেষ্টা করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে জনসমাগম হয়েছে, সেখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে।

তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহানগরীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বেও আলাদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিজয়ের ‘কিংডম’-এর হিন্দি রূপ ‘সাম্রাজ্য’, মুক্তি পাচ্ছে এই জুলাইয়ে Jul 20, 2025
img
জিপিএ ৫ এর পেছনে দৌড়াতে-দৌড়াতে শিক্ষাব্যবস্থার ১২টা বেজে গেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 20, 2025
img
চলতি বছর ৩টি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র Jul 20, 2025
গুরুতর আহত কিং খান, চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে Jul 20, 2025
কার্তিক-শ্রীলিলা বিয়ে? জানালেন আসল সত্য Jul 20, 2025
img
জুলাই চেতনাকে সম্মান জানাতেই দ্রুত ডাকসু নির্বাচন: ঢাবি উপাচার্য Jul 20, 2025
মিষ্টিকেই বিয়ে করছেন শাকিব! যা জানালো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Jul 20, 2025
বাবা-মায়ের দূরত্ব ছাপিয়ে ক্যারিয়ারের স্বপ্নে উজ্জ্বল সারা Jul 20, 2025
সড়ক দুর্ঘটনা থেকে ২০ বছরের কোমা, শেষ হলো সৌদি প্রিন্সের অধ্যায় Jul 20, 2025
আগে ফোন দেয়া লাগতো লীগকে, এখন সমন্বয়ককে? Jul 20, 2025
img
কদমতলীতে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড Jul 20, 2025
img
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের অনুপস্থিতিতেই চলবে বিচার Jul 20, 2025
img
নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বন সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা Jul 20, 2025
img
শচীন-অ্যান্ডারসনের নামে ঐতিহাসিক ট্রফি, বিশ্বাসই হচ্ছে না কিংবদন্তি অ্যান্ডারসনের Jul 20, 2025
img
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দিয়ে ৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ Jul 20, 2025
img
গভীর রাতে আমাকে তিনি হোটেলে ডাকেন : আফতাব Jul 20, 2025
img
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে সরকার: সৈয়দা রিজওয়ানা Jul 20, 2025
img
নিবন্ধনের নথি চেয়ে এনসিপিসহ ৮৩ দলকে চিঠি দেওয়া শুরু ইসির Jul 20, 2025
img
গুলিস্তান ও আজিমপুরে কোনো বাস পোড়ানো হয়নি: ডিএমপি Jul 20, 2025
img
‘এখানে স্থায়ী হয়ে গেলে অবাক হবেন না’ Jul 20, 2025