ফের আগ্রাসন হলে প্রতিরোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ইরান: আরাঘচি

ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর হওয়া যুদ্ধবিরতিকে নাজুক বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। চীনে এসসিও সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে তিনি জানান, ফের আগ্রাসন হলে প্রতিরোধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে তেহরান।

১৩ জুন ইসরাইল যে আগ্রাসন শুরু করেছিল, সেটিকে যুদ্ধ নয়, বরং সরাসরি হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

চীনের সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠক শেষে শনিবার (১৯ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তেহরান আত্মরক্ষায় তেল আবিবে হামলা চালিয়েছিল এবং সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রতিপক্ষকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করে।

২৪ জুন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত বন্ধে একটি অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আরাঘচির ভাষায়, যুদ্ধবিরতি আপাতত কার্যকর হলেও তা অত্যন্ত ‘নাজুক’। কারণ হিসেবে তিনি বলেন অতীতে যুদ্ধবিরতি রক্ষায় ইসরাইলের রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ।

আব্বাস আরাঘচি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে আছি। যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি ভাঙলে ইরান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে, যদিও এটা কারো কাম্য নয়। আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। আমরা চাই না এই যুদ্ধ চলতে থাকুক, তবে আবারও বলছি, যেকোনো হামলার বিপরীতে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি।

এমন পরিস্থিতিতে, ওমানে ৬ষ্ঠ দফার নির্ধারিত পারমাণবিক আলোচনা স্থগিত হয়। তবে আরাঘচি বলেন, যদি ওয়াশিংটন সামরিক পন্থা পরিত্যাগ করে এবং ক্ষয়ক্ষতি পূরণে প্রস্তুত থাকে, তাহলে ইরান ফের আলোচনায় ফিরতে রাজি। তার ভাষায়, শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই সমাধান সম্ভব। চাপ বা হুমকিতে ইরান কখনও মাথা নত করবে না।

একই সুরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চললেও, সামরিক চাপে ইরান নতি স্বীকার করবে না।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি বলেন, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং তা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। ইরানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে আর্মেনিয়া জানায়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় তেহরানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিল্ডিংয়ে ঢোকা সাপকে নিজে ধরে জঙ্গলে ছাড়লেন সোনু Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Jul 20, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৪২৯ জন হাসপাতালে Jul 20, 2025
img
অতীতে সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ Jul 20, 2025
শিগগিরই সংঘাতে জড়াবে বিএনপি-জামায়াত: রনি Jul 20, 2025
‘আখতারের সততা ও সহনশীলতায় দাঁড়াবে এনসিপি’ - রাশেদ খাঁন Jul 20, 2025
“পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্য একটি পক্ষ বার বার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে " Jul 20, 2025
img
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান Jul 20, 2025
img
‘রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি বন্ধ না হলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়’ Jul 20, 2025
img
‘বান্দরবানের জনসাধারণের কাছে সারজিস আলমকে ক্ষমা চাইতে হবে’ Jul 20, 2025
img
ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে বিশেষ ঋণ দেয়া হবে: ফাওজুল কবির Jul 20, 2025
দুই ভাইয়ের ঘরে এক স্ত্রী, আলোচনায় ব্যতিক্রমী ঘটনা Jul 20, 2025
img
খুলনা ও বরিশালে সোমবার থেকে চালু হচ্ছে সব ধরনের অনলাইন জিডি সেবা Jul 20, 2025
img
পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদুলের ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড Jul 20, 2025
img
ভূমিকর আদায়ের হার সন্তোষজনক : ভূমি উপদেষ্টা Jul 20, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮৩ জন Jul 20, 2025
সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জন আসামি হাজির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে Jul 20, 2025
সমাবেশের অসুস্থতা কাটিয়ে দায়িত্বপালনে খুলনা যাচ্ছেন ডা. শফিকুর রহমান Jul 20, 2025
img
জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে এসে নেতাকর্মীর মৃত্যু, গভীর শোক প্রকাশ জামায়াত আমিরের Jul 20, 2025
img
দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৪ জন Jul 20, 2025