সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারাকে বিশ্বাস করেন না বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এমনকি সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেশটির সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে ড্রুজ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলি এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আজ রোববার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ওয়াশিংটনে মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজের সঙ্গে এক বৈঠকে কাটজ বলেন, “শারার মতো নেতার ওপর আমরা কোনোভাবেই ভরসা করতে পারি না। তিনি ‘জিহাদিবাদী গোষ্ঠী’গুলোকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন এবং ভবিষ্যতে সেগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারেন।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের এই বক্তব্য প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট। কাটজ বলেছেন, “আমরা কেবল ঈশ্বর ও আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী)-এর ওপর ভরসা করি, যারা ইসরায়েল রাষ্ট্রকে রক্ষা করে।”
সিরিয়ার ৬১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির শাসন গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার পর নতুন প্রশাসন গঠিত হয়েছে। এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কাতজ বলেন, “আমি হাফেজ আল-আসাদকে বিশ্বাস করিনি, তার ছেলে বাশার আল-আসাদকেও না। এখন শারাকে তো আরও নয়। তিনি জিহাদিগোষ্ঠীগুলোর ওপর নির্ভর করে সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে ড্রুজ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি একই গোষ্ঠীকে গোলান মালভূমির ইসরায়েলি বসতিগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারেন।”
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে সিরিয়ার গোলান মালভূমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যের মধ্যেই শনিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সুয়েইদায় তাৎক্ষণিক ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। এর আগে ১৩ জুলাই থেকে ওই অঞ্চলে বেদুইন আরব গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র ড্রুজ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা বেশ দ্রুতই তীব্র রূপ নেয়।
সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে ইসরায়েল দামেস্কসহ বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। হামলার কারণ হিসেবে তারা দাবি করে, ড্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করতেই এই অভিযান। তবে সিরিয়ার অধিকাংশ ড্রুজ নেতা বিদেশি হস্তক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দেশটির একীভূত রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
পিএ/টিকে