টি-২০ ক্রিকেট ৩০ বলের কমেও ৪টি সেঞ্চুরির সাক্ষী হয়েছে। দ্রুততমটি ২৭ বলে। বিগ ব্যাশে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি ৩৯ বলে। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে ক্রেইগ সিমন্স ওই কীর্তি করেছিলেন। এবারের আসরে হোবার্ট হারিকেন্সের মিচেল ওয়েনও ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন। তাও আবার সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ফাইনালে।
জানুয়ারিতে রেকর্ডগড়া ওই ইনিংসের পরবর্তী পাঁচ মাসে ওয়েন ৪টি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন, এসএ২০-তে পার্ল রয়্যালসের হয়ে খেলার পর পিএসএলে নাম লেখান পেশোয়ার জালমিতে। আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়েও একটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সবশেষ মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলেছেন ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে। তার দল উঠেছিল ফাইনালেও। শিরোপা জিততে ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে প্রায় দুশো স্ট্রাইকরেটে ৩১৩ রান ও মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে ১৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন তিনি।
এমন পারফরম্যান্সের অস্ট্রেলিয়া ওয়েনকে দলে ডাকত কার্পন্য করেনি। জায়গা দিল একাদশেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে তার। ওয়েন পেয়েছেন ১১২ নম্বর টি-২০ ক্যাপ। জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৬টায় শুরু হবে ওই ম্যাচ।
ডেভিড ওয়ার্নার অবসরের সিদ্ধান্ত নিলে অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলে ওপেনিংয়ের জন্য লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান (২৯ বলে) ফ্রেসার ম্যাকগার্ককে শক্ত ক্যান্ডিডেট মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ৭টি ওয়ানডে ও সমানসংখ্যক টি-২০ খেলে ম্যাকগার্ক এখনও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। তিনি সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত ফেব্রুয়ারিতে, টি-২০ আরও আগে-গত বছরের নভেম্বরে। ৮ মাস পর অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ দলে ফিরলেন তিনি।
শুরুতে ম্যাকগার্ক অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পাননি। স্পেন্সার জনসন ইনজুরিতে পড়লে তার জায়গায় ডাক পান তিনি। তারপরও তার খেলার সম্ভাবনা কমই ছিল। ম্যাথুউ শর্ট সাইড স্ট্রেনের চোটে পড়ে দেশে ফেরায় তিনি একাদশে ঢুকেছেন।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জ্যাক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল ওয়েন, কুপার কোনোলি, বেন ডারশুইস, শন অ্যাবোট, নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা।