রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কা, হাওয়াইয়েও সতর্কতা

রাশিয়ার পূর্ব উপকূল, কামচাটকা উপদ্বীপের কাছে রোববার (২০ জুলাই) ভোরে ৭.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে রাশিয়া ও হাওয়াইয়ের কিছু অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে (ইউটিসি ০৭:১৫) এই ভূমিকম্পটি হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীরে এবং পেট্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার পূর্বে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। প্রধান ভূমিকম্পের পর ৬.৬ ও ৬.৭ মাত্রার কয়েকটি আফটারশক বা পরাঘাত অনুভূত হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র পূর্ব কামচাটকা উপকূলে প্রায় এক মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে। হাওয়াইয়েও সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানে ঢেউ স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৩ মিনিটের দিকে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কামচাটকা অঞ্চলের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো আহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে এবং স্থানীয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। অনেক এলাকায় সুনামি সতর্কতা সাইরেন চালু করা হয়েছে এবং সবাইকে শান্ত থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

রয়টার্স জানায়, ইউএসজিএস এই ভূমিকম্পের জন্য যে সতর্কতা জারি করেছে, যার অর্থ প্রাণহানির বা বড় ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

হাওয়াইয়ের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখনো স্থানান্তরের প্রয়োজন নেই, তবে বাসিন্দাদের সৈকত ও সমুদ্রতট থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে যতক্ষণ না সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

গত কয়েক বছরে কামচাটকা অঞ্চলে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর একটি। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এই এলাকা ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি সক্রিয়তার জন্য পরিচিত।

বর্তমানে আফটারশক ও সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সবাইকে স্থানীয় প্রশাসন ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থার তথ্য ও নির্দেশনা অনুসরণ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতকে বেশি অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বঞ্চিত করছে আইসিসি: মাইকেল ভন Jul 20, 2025
img
যে কারণে হাতে সবসময় এই ব্রেসলেট পরে থাকেন সালমান Jul 20, 2025
img
পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা মিনহাজসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ Jul 20, 2025
img
বান্দরবান নিয়ে বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন সারজিস আলম Jul 20, 2025
img
বিল্ডিংয়ে ঢোকা সাপকে নিজে ধরে জঙ্গলে ছাড়লেন সোনু Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Jul 20, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৪২৯ জন হাসপাতালে Jul 20, 2025
img
অতীতে সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ Jul 20, 2025
শিগগিরই সংঘাতে জড়াবে বিএনপি-জামায়াত: রনি Jul 20, 2025
‘আখতারের সততা ও সহনশীলতায় দাঁড়াবে এনসিপি’ - রাশেদ খাঁন Jul 20, 2025
“পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্য একটি পক্ষ বার বার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে " Jul 20, 2025
img
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান Jul 20, 2025
img
‘রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি বন্ধ না হলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়’ Jul 20, 2025
img
‘বান্দরবানের জনসাধারণের কাছে সারজিস আলমকে ক্ষমা চাইতে হবে’ Jul 20, 2025
img
ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে বিশেষ ঋণ দেয়া হবে: ফাওজুল কবির Jul 20, 2025
দুই ভাইয়ের ঘরে এক স্ত্রী, আলোচনায় ব্যতিক্রমী ঘটনা Jul 20, 2025
img
খুলনা ও বরিশালে সোমবার থেকে চালু হচ্ছে সব ধরনের অনলাইন জিডি সেবা Jul 20, 2025
img
পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদুলের ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড Jul 20, 2025
img
ভূমিকর আদায়ের হার সন্তোষজনক : ভূমি উপদেষ্টা Jul 20, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮৩ জন Jul 20, 2025