ফিলার্স সরিয়ে বিপাকে উর্ফী,ঠোঁট ফুলে ঢোল

অভিনব ফ্যাশন ও চমকপ্রদ লুকে যিনি প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন, সেই উর্ফী জাভেদ এবার নিজের শারীরিক অবস্থায় হতবাক করে দিলেন অনুরাগীদের। ঠোঁট ফুলে ঢোল, মুখের তুলনায় অস্বাভাবিক বড় ঠোঁট দেখে শিউরে উঠেছেন নেটজনতা। নিজেই সেই ভয়ানক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে জানালেন—এই অবস্থা তাঁর ফিলার্স সরিয়ে ফেলার পরিণাম।

উর্ফীর ঠোঁটের এই পরিবর্তন আচমকা নয়। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি অকপটে বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ঠোঁটে ফিলার্স ব্যবহার করছেন, এমনকি বোটক্সের কথাও লুকাননি। সেই সময় অনুরাগীরা তাঁর এই স্বচ্ছতা ও সততার প্রশংসা করেছিলেন। তবে এবার পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম।

শনিবার উর্ফী জানিয়েছেন, তিনি নিজের প্রকৃত ঠোঁটের গড়ন ফিরে পেতে চান। সে কারণেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ফিলার্স সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায়ই ঘটেছে অঘটন। ইনজেকশনের মাধ্যমে ঠোঁট থেকে ফিলার্স অপসারণ করতে গিয়ে মুখের আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়। ফোলা ঠোঁটে যন্ত্রণা আর অসহ্য অস্বস্তি নিয়েই ভিডিও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসক ইনজেকশন দিচ্ছেন তাঁর ঠোঁটে। ক্যাপশনে উর্ফী লিখেছেন, “এটা কোনও নতুন ফিলার্স নয়। আমি পুরনোটা সরিয়ে ফেলছি। কারণ সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আবার ফিলার্স নেব, তবে এবার আর ইনজেকশন নয়। ফিলার্স সরানোর এই প্রক্রিয়া খুবই যন্ত্রণাদায়ক। কেউ এই পথে হাঁটার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”

আরও একটি পোস্টে উর্ফী লেখেন, “বিশ্বাস করতে পারছি না, আমি ফিলার্স সরিয়ে ফেলছি। মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে ফিলার্স নিচ্ছি। কত বছর ধরে নিজেকে ফিলার্স ছাড়া দেখিনি! হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার লিপ ফিলার্স করিয়ে নেব, তবে এবার আরও সতর্কভাবে।”

নেটদুনিয়ার চোখ ধাঁধানো ফ্যাশনের আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেক কষ্ট, পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর ভয়ের গল্প। উর্ফীর এই ভিডিও যেন সেই লুকানো দিকটাকেই সামনে নিয়ে এল। আর তা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চিকিৎসার খোঁজ নেওয়ায় সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জামায়াত আমিরের Jul 21, 2025
img
মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ Jul 20, 2025
img
রাজবাড়ীতে হেলিকপ্টারে চড়ে ইমামের রাজসিক বিয়ে Jul 20, 2025
img
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে মির্জা ফখরুলের মন্তব্য Jul 20, 2025
img
জিম্বাবুয়ের হ্যাটট্রিক হার, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়, টাইগারদের অভিনন্দন জানাল আসিফ মাহমুদ Jul 20, 2025
img
‘ডিজিটাল সুবিধা নাগরিক সেবা কেন্দ্রের আওতায় আনা হচ্ছে’ Jul 20, 2025
img
টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক পলিসির খসড়া পর্যালোচনায় কমিটি গঠন Jul 20, 2025
img
ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকারকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়াচ্ছে লিভারপুল! Jul 20, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন ২ হাজার বাংলাদেশি Jul 20, 2025
img
রাবণের চোখে রামায়ণ, স্বপ্নের ছবির কথা জানালেন মানচু বিষ্ণু Jul 20, 2025
img
স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে বিভেদ তৈরি করতে চাই না : সালাহউদ্দিন Jul 20, 2025
img
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ Jul 20, 2025
img
রাজপথে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ এখন সময়ের অপেক্ষা : গোলাম মাওলা রনি Jul 20, 2025
img
সাধারণ মানুষদের গণহারে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন Jul 20, 2025
img
নির্বাচনে এনসিপির কেউ জিততে পারবেন না : ইশরাক Jul 20, 2025
img
'কুলি' সিনেমায় সাহসী চরিত্রে থাকছে শ্রুতি হাসান Jul 20, 2025
img
আ.লীগের হরতাল ভারতে নাকি অনলাইনে, প্রশ্ন জাগপার Jul 20, 2025
img
খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টার সঙ্গে ক্রেমলিনে হঠাৎ বৈঠক করেছেন পুতিন Jul 20, 2025
img
টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের ২ নেতাসহ গ্রেফতার ৭ Jul 20, 2025