বর্তমানে তিনি বলিউডের প্রথম সারির নায়ক। ‘উরি’, ‘সর্দার উধম সিংহ’, ‘মশান’, ও ‘সাম বাহাদুর’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ে বার বার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু ভিকি কৌশলের শৈশব বা কিশোর বেলা মোটেই মসৃণ ছিল না। বরং পারিবারিক সমস্যার মধ্যে বেড়ে উঠেছেন তিনি। এমনকি বাবাকে আত্মহত্যাপ্রবণও হয়ে পড়তে দেখেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভিকির বাবা শ্যাম কৌশল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি কেন আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন। ২০০৩ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। সেই সময়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচারের পরে পেটে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা হত। তখন ভেবেছিলেন হাসপাতাল ভবন থেকে ঝাঁপ দেবেন। কিন্তু যন্ত্রণা এতটাই প্রবল ছিল যে ঝাঁপ দিতে যেতেও পারেননি।
হৃতিক রোশনের ছবি ‘লক্ষ্য’-র শুটিং-এর সময়ে হঠাৎ পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। ছবিতে লড়াইয়ের দৃশ্যের পরিচালনা করতেন তিনি। প্রথম দিকে যন্ত্রণা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পরের দিন যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারেননি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তখন জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
হাসপাতালে গিয়ে শ্যাম বলেছিলেন, “আর কোনও রাস্তা না থাকলে অস্ত্রোপচারই করুন।” সেই সময়ের স্মৃতি মনে করে শ্যাম কৌশল বলেন, “আমাকে কিছু ওষুধ দিলেন চিকিৎসক। পরের দিন সকালেই আমার অস্ত্রোপচার করলেন। তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হল। সন্ধ্যায় সামান্য জ্ঞান ফিরেছিল। তবে সম্পূর্ণ জ্ঞান ফিরতে লেগে গিয়েছিল তিন দিন।”
অস্ত্রোপচারের পরে পরিবারের সকলেই খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে জানিয়েছেন ভিকির বাবা। তিনি বলেন, “অস্ত্রোপচারের পরে আমার পেট থেকে কিছু বার করে সেটা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দেখা যায়, সেটা ক্যানসার আক্রান্ত। রিপোর্ট আসার পরে চিকিৎসক বলেন, আমি বাঁচব না। সেই রাতেই আমি ভেবেছিলাম, চার তলা থেকে ঝাঁপ দেব। কিন্তু এতই দুর্বল ছিলাম, সেটা পারিনি। ভেবেছিলাম, মরতেই যখন হবে, তা হলে এখনই কেন নয়? কিন্তু যন্ত্রণায় নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারিনি।”
শ্যাম জানান, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা শুরু করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শক্তি সঞ্চার করেন, ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ সুস্থও হয়ে ওঠেন তিনি।
এমকে/এসএন