গত কয়েক বছরে বেড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট। বিভিন্ন জায়গায় মানবজাতির জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও চোখ রাঙাচ্ছে মানুষের তৈরি করা এই বিশেষ ব্যবস্থা। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই বর্ষীয়ান গীতিকারের। তাঁর প্রশ্ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি কারও প্রেমে পড়তে পারবে?
শিল্পীদের মধ্যে যে আবেগ থাকে, তা কখনই তুলে ধরতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। জাভেদের কথায়, “শিল্প ও সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে, এআই সব সময়েই তথ্যের খোঁজ করবে। অথবা যে সমস্ত সৃজনশীল কনটেন্ট ইতোমধ্যেই রয়েছে, সেখান থেকেই কিছু একটা বার করে আনার চেষ্টা করবে।” জাভেদের মতে স্বতন্ত্র ও একেবারে আনকোরা সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে এখনও সক্ষম নয় এআই।
প্রত্যেক ব্যক্তির শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা থাকে। তাই মানুষের আবেগ, ভাবনাচিন্তাকে টপকে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়নি এআই। মনে করেন জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, “যে সমস্ত তথ্যের ইতোমধ্যেই অস্তিত্ব রয়েছে, তার উপরেই নির্ভর করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সৃজনশীলতা একটা পদ্ধতি। এআই কি প্রেমে পড়তে পারে? এআই-এর কি অকারণে দুঃখ হয় বা এআই কি অবসাদে ভোগে? এআই কি অকারণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে? এআই-এর কি কাউকে অপছন্দ হতে পারে? এই অদ্ভুত বিষয়গুলি না থাকলে মানুষের মতো হয়ে উঠতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের অবচেতন মনও থাকে। যন্ত্রের দ্বারা এ সব সম্ভব নয়।”
শেক্সপিয়ারের মতো লেখা বা লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’র মতো চিত্র, এর কোনোটাই এআই-এর আয়ত্তে নেই। এআই এই কাজগুলি নকল করতে পারে মাত্র, মনে করেন জাভেদ।
এমকে/এসএন